রহমত নিউজ ডেস্ক 01 May, 2023 09:19 PM
গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, বঙ্গবাজারে আগুন লেগেছিল নাকি লাগানো হয়েছিলো তা বলব না। তবে আগুন লাগার পরপরই যখন সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকেরা সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের কথা বলে... তখন বুঝতে বাকি থাকে না, আসলে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার পেছনে আসল কাহিনী কী। বিভিন্ন সময় সরকারদলীয় নেতারা শ্রমিকদের ব্যবহার করে, তাদের দিয়ে বিভিন্ন সময় মিছিল মিটিং করায়, এমনকি লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবেও ব্যবহার করে। অথচ করোনার সময় এই শ্রমিকদের পাশে তাদের দাঁড়াতে দেখা যায়নি।
সোমবার (১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ আয়োজিত মহান মে দিবসে র্যালি পরবর্তী শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মুহাম্মাদ রাশেদ খান, যুগ্ম-সদস্য সচিব তারেক রহমান ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সোহেল শিকদারসহ আরও অনেকে।
নুর বলেন, রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দেশি-বিদেশি সব অনুদানের হিসাব দিতে হবে। কোন জায়গা থেকে কত অনুদান এসেছিল, আর সেসবে অনুদান কোন খাতে কত খরচ হয়েছিল, স্বচ্ছতার সঙ্গে সব হিসাব চাই। রানা প্লাজায় আহত অনেক শ্রমিক এখনও চলাফেরা করতে পারে না, অনেকের চাকরি নেই। এই রানা প্লাজা নিয়ে যেভাবে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছিল, আলোচনা হয়েছিল, সেভাবে ভুক্তভোগীরা সহযোগিতা পায়নি। বর্তমান সময়ে শ্রমিকরা যা বেতন পান তা দিয়ে চলতে পারে না। কারণ সবকিছুর দাম অনেক বেশি। ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা বলে এখন ৭০/৮০ টাকা কেজি চাল খাওয়াচ্ছে সরকার। আর ৭০/৮০ টাকা লিটারের সয়াবিন তেলের দাম এখন ২০০ টাকা।