রহমত নিউজ ডেস্ক 11 April, 2023 10:50 PM
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেছেন, কথায় কথায় মন্ত্রীরা বলেন জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। এটা বাস্তবতা বিবর্জিত। স্বাভাবিকভাবে ক্রয় ক্ষমতা বাড়েনি বরং মানুষ কোন মতে বেঁচে থাকার জন্য এখন ৮ ঘন্টার পরিবর্তে ১৬ ঘন্টা কর্ম করছে। এক কর্মক্ষেত্রের পরিবর্তে প্রতিদিন ২-৩ জায়গায় কাজ করছে। ঢাকা শহরের হাজার হাজার বাইকার এর উৎকৃষ্ট প্রমাণ। এরা চাকরী করার আগে-পরে এক্সটা ভাড়া মেরে সংসার খরচের অতিরিক্ত টাকার যোগান দেয়। তারা মেহনতী খেটে খাওয়া মানুষ। এরা বিদেশে টাকা পাচার করেনি। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে রাজনৈতিক নেতা, আমলা ও রাঘববোয়াল ব্যবসায়ীরা। সরকার অদ্যবধি পাচারকৃত টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার কোন উদ্যোগ নেয়নি।
আজ (১০ এপ্রিল) মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত রাজধানীর গুলশানস্থ একটি মিলনায়তনে “বিশিষ্টজনদের সাথে মতবিনিময় ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।দলের সহকারী মহাসচিব ও নগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব আমিলুল ইসলাম, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, নুরুল ইসলাম নাঈম, আরিফুল ইসলাম, হাসমত আলী, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন প্রমুখ।
মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি-জিএফআই’ জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশী অর্থ পাচার হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে শুধু বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে ৪ হাজার ৯৬৫ কোটি ডলার বা প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। শুধু সুইস ব্যাংকেই বাংলাদেশীদের টাকা জমা রয়েছে ৫ হাজার ২০৩ কোটি টাকা। পশ্চিমা রাষ্ট্রসমূহ ও সুইজারল্যাণ্ডের ব্যাংকগুলো হলো অর্থ পাচারকারীদের স্বর্গরাজ্য। কর ফাঁকি ও অবৈধ টাকা জমা হয় এই ব্যাংকগুলোতে। এতো অর্থ কিভাবে পাচার হলো বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের যোগসাজশ ছাড়া? অর্থ পাচর রোধ করার দায়িত্ব যাদের তারাই অর্থ পাচারে জড়িত।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বায়ু দূষণ রোধে সিটি কর্পোরেশনের বাস্তবসম্মত কোন পদক্ষেপ না থাকায় নগরবাসী চরম স্বাস্থঝুঁকিতে আছে। ঢাকা শহরে যে যানবাহনগুলো চলে সেগুলো বেশির ভাগই ব্যবহারের অনুপযোগী। অধিকাংশই মেয়াদোত্তীর্ণ। গাড়িগুলোর যন্ত্রাংশের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সেগুলো থেকে বিষাক্ত গ্যাস নিঃসরণ হয়। ফলে গাড়িগুলো থেকে প্রচুর দূষণ হয়। সিটি কর্পোরেশনের গণ পরিবহন বিভাগ, বিআরটিএ বা পরিবেশ অধিদফতর কেউ-ই এ ব্যাপারে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা