রহমত নিউজ ডেস্ক 29 March, 2023 09:33 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের গণতান্ত্রিক দল দাবি করলেও তারা দুবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে।
আজ (২৯ মার্চ) বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘রণাঙ্গনে জিয়া’ উদ্বোধন উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক শামিমুর রহমান শামিম, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের রিসার্চ সেলের আহ্বায়ক সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিশ, রণাঙ্গনে জিয়া প্রামাণ্য চিত্রের লেখক ও সিনিয়ার সংবাদিক আমিনুল ইসলাম কাগজি, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মঈন খান বলেন,বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে হয়েছে, জিয়াউর রহমান সৈনিক ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত দল নাকি ক্যান্টনমেন্টের দল’। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে, যদিও সেটা বাস্তব সত্য নয়। আওয়ামী লীগের জন্ম ক্যান্টনমেন্টে নয়, যারা নিজেদের গণতান্ত্রিক দল বলে দাবি করে, তারা কেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে? স্বাধীনতার পর বাকশাল করে একবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে, আবার এখন গণতন্ত্র হত্যা করছে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এমন এক সময়ে, যখন সারাদেশের মানুষ দিশেহারা। দিশেহারা মানুষের সামনে তিনি কান্ডারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তিনি শুধু ঘোষাণা দিয়েই থেমে যাননি, সম্মুখে যুদ্ধ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, দেশে নতুন করে আবার বাকশাল কায়েম হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য, পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনীতি বৈষম্য দূর করার জন্য, দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। আজকের সরকার যদি গণতন্ত্র ধ্বংস করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করে, তাহলে দেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল কেন? আজ নতুন করে আমাদের এই প্রশ্নগুলো করতে হবে, তুলে ধরতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশ থেকে গণতন্ত্র বিদায় করেছে। দেশের দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। তাতে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। যারা ধনী তাদের কথা আলাদা, কিন্তু যে মানুষ মাস শেষে নির্দিষ্ট বেতন পান তাদের সংসার চলছে না।