| |
               

মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ বিএনপির মুখে পলায়নপর রাজনীতির তামাশা ছাড়া কিছু নয় : ওবায়দুল কাদের


বিএনপির মুখে পলায়নপর রাজনীতির তামাশা ছাড়া কিছু নয় : ওবায়দুল কাদের


রহমত নিউজ ডেস্ক     09 March, 2023     08:27 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দল বিএনপির তথাকথিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একুশে আগস্টের খুনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী তারেক রহমান প্রায় দেড় দশক বিদেশে পলাতক রয়েছে। যারা দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামীর নেতৃত্বে রাজনীতি করে তাদের মুখে অন্যদের নিয়ে পলায়নপর রাজনীতির আষাঢ়ে গল্প তামাশা ছাড়া কিছু নয়। আওয়ামী লীগ এদেশের গণমানুষের সংগঠন। এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে চরম প্রতিকূল পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এবং দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা অত্যাচার-নির্যাতন স্বীকার করে ও আত্মদানের মধ্য দিয়ে বহু ঝড়-ঝঞ্ঝা বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে এগিয়ে চলা সংগঠনের নাম আওয়ামী লীগ। 

আজ (৯ মার্চ) বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শত-সহস্র বৈরী পরিবেশেও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো সংগঠনের নাম আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ কখনো পলায়নপর রাজনীতি করেনি, করবেও না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে জনগণের মধ্য থেকে উত্থিত রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেছিল বলেই মির্জা ফখরুল ইসলামরা আজ অপরাজনীতির সুযোগ পেয়েছে। বাক-স্বাধীনতার নামে লাগাতারভাবে মিথ্যাচার করার অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যদি দেশ স্বাধীন না হতো, তাহলে তাদেরকে এখনো পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর গোলামি করতে হতো। স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করেও তারা পরাজিত পাকিস্তানের প্রতি এক ধরনের সংবেদনশীলতা অনুভব করে; পাকিস্তানের প্রতি তাদের ভাবাদর্শগত মোহ এখনও কাটেনি। আমরা স্পষ্টতই বলতে চাই, যাদের এখনও পাকিস্তানের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সবসময় জন-আকাক্সক্ষা ও জনমতকে ধারণ করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে। জনকল্যাণকে সামনে রেখেই প্রণীত হয় বর্তমান সরকারের সকল কর্মসূচি, পরিকল্পনা ও কর্মপন্থা। যার ফলশ্রুতিতে বিএনপি-জামাতের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর অর্থনীতি ও চরম অনিশ্চয়তার বাংলাদেশ বিশ^সভায় উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে অভিহিত হয়েছে; গত ১৪ বছরে অভাবনীয় অগগ্রতি সাধিত হয়েছে। সরকারকে পদত্যাগ করাতে বা তত্ত্বাবধায়কের অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও অযৌক্তিক দাবীর হুঙ্কার দিয়ে কোনো লাভ নেই। কোনো অনির্বাচিত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সরকার গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শের পরিপন্থী। দেশে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হবে। গণপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশে জনগণের ভোটেই সরকার গঠন হবে।