রহমত নিউজ ডেস্ক 09 March, 2023 07:10 PM
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চলতি বছর এমবিবিএস (মেডিকেল) ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, শুক্রবার (১০ মার্চ) এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার জন্য একটি কমিটি রয়েছে, যারা দিনরাত পরিশ্রম করে প্রশ্নপত্র প্রস্তুত থেকে শুরু করে অন্যান্য কার্যক্রম করেছেন। সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রে এবার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য মোট আবেদনকারী ছাত্র-ছাত্রী এক লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন। আবেদনকারীদের মধ্যে ছেলে ৬৪ হাজার ২৬৪ জন (৪৬ দশমিক ১৬ শতাংশ), মেয়ে ৭৪ হাজার ৯৫৩ জন (৫৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ)। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১০৮টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন রয়েছে ১১ হাজার ১২২টি। সেই হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ১২ জন পরীক্ষার্থী।
আজ (৯ মার্চ) বৃহস্পাতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
স্বাস্থমন্ত্রী বলেন, সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে, তারা সহযোগিতা দেবেন। পরীক্ষার জন্য যে প্রশ্নপত্র বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে, সে প্রশ্নগুলো কিন্তু আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে ট্র্যাকিং করে থাকি অর্থাৎ নজরদারি আমরা করে থাকি, যাতে কোন রকমের টেম্পারিং না করতে পারে। পরীক্ষায় কোন রকমের ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট নিয়ে আসতে পারবে না। বিষয়টি ছাত্র-ছাত্রীদের ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে। এটাও বলা হয়েছে যে প্রত্যেকটা পরীক্ষার্থীর যাতে কান দেখা যায়। কান ঢাকা চলবে না। কারণ সেখানে গেজেট লাগিয়ে অনেক সময় নকল করার একটি সুযোগ পেয়ে থাকে। সেজন্য আমরা এই কথাটি বলে দিয়েছি। সোশ্যাল মিডিয়া যেগুলো আছে সেগুলোতেও কঠোর নজরদারি করা হবে, যাতে কোনও রকমের রিউমার বা কোন রকমের মিথ্যাচার না করতে পারে। সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। আমরাও রাখবো এবং যারা পুলিশ বাহিনীর দক্ষ ব্যক্তি আছেন; এ কাজটি করে থাকেন, তারাও নজরদারি করবেন।
তিনি বলেন, চলতি মাস থেকেই নিজ কর্মস্থলে সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস পাইলটিং আকারে শুরু হবে। মার্চ মাসে আমরা প্রাথমিকভাবে শুরু করব। মার্চ মাস তো এখন শুরু হয়েছে। ইনশাআল্লাহ এই মার্চ মাসেই আমরা একটা পাইলটিং স্কিম হাতে নিয়েছি। একটা কাজ করতে হলে তো অনেক আলোচনার বিষয় থাকে, সিদ্ধান্তের বিষয় থাকে। ওগুলো মোটামুটি আমরা শেষ করে এসেছি এবং আশা করি মার্চ মাসেই এটি করতে পারবো। এর আগে, গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যেখানে যে ডাক্তার কর্মরত আছেন সেই প্রতিষ্ঠানেই তারা যাতে প্র্যাকটিস করার সুবিধা পান, যাতে বাইরে বিভিন্ন ক্লিনিকে বা চেম্বারে গিয়ে তাদের প্র্যাকটিস করতে না হয়। এই সুবিধা আমরা করে দিতে চাইছি। সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে নির্দিষ্ট ডিউটির পর ডাক্তাররা এটি করতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় শুধুমাত্র পাস করলেই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির নিয়ম আর থাকছে না। এখন থেকে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতি আসনের বিপরীতে মেরিট অনুযায়ী ৫ জন ভর্তি হওয়ার যোগ্য হবেন। সে অনুযায়ী বেসরকারি মেডিকেলের ৬ হাজার ৭৭২টি সিটের বিপরীতে মেরিটে ৩৩ হাজার ৮৬০ এর মধ্যে থাকলে ভর্তির ক্ষেত্রে যোগ্য হবেন। এ বছর যারা পাস করে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবেন, সেখানে আমরা কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। আগে পাস যতই করুক সবাই ইলিজেবল (ভর্তিযোগ্য) হতো। গত বছর ৮০ হাজার পাস করেছিল। ৮০ হাজারই ভর্তির যোগ্য ছিল। ভর্তির জন্য এ বছর আমরা সেটাকে কমিয়ে ওয়ান ইজ টু ফাইভ করেছি অর্থাৎ একটা সিটের জন্য পাঁচজন করে আমরা কনফিগারেশন করব মেরিট অনুযায়ী। অর্থাৎ তাতে ৩৩ হাজার ৮৬০ জন শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে বেসরকারি ৬ হাজার ৭৭২টি সিটে ভর্তি হতে পারবে।