রহমত নিউজ 23 January, 2023 06:15 AM
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে “বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৩' শীর্ষক বিল। প্রজ্ঞাপন জারি করে এতে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও তেলের মূল্য বৃদ্ধির ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
বর্তমান প্রক্রিয়ায় ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে গণশুনানি করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ট্যারিফ সমন্বয় (মূল্য বৃদ্ধিতে) এবং প্রচলিত আইনে বর্ণিত প্রক্রিয়ায় মূল্য নির্ধারণে ন্যূনতম ৩ মাস সময় লাগে। তাই দ্রুততম সময়ে ট্যারিফ সমন্বয়ের (মূল্য বৃদ্ধির) লক্ষ্যে সরকারের ক্ষমতা সংরক্ষণের জন্য আইনটি সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়েছে।
রোববার (২২ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২১তম অধিবেশনের বৈঠকে বিলটি উত্থাপন করেন বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। পরে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
তবে সংসদে বিলটি উত্থাপনের আগে আপত্তি জানান জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমাম। তিনি বলেন, এই বিলটি আনা হলে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির দাম আরও বাড়বে। তার প্রতিক্রিয়ায় বাড়বে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এতে বাড়বে জন দুর্ভোগ। কমবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ক্ষমতা ও মূল্য সমন্বয়ে জনগণের অধিকার।
জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মূল্য সমন্বয়ের যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তা বাস্তবায়ন হয়েছে ২২ সালের অক্টোবরে। এরমধ্যে বিশ্ব বাজারে আরও মূল্য বৃদ্ধি ঘটলেও তা সমন্বয় করতে রাজি হয়নি কমিশন। এতে ভর্তুকি বেড়েছে। এভাবে ভর্তুকি দিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পার্শ্ববর্তী কোনো দেশ গ্যাস বিদ্যুতে ভর্তুকি দেয় না। তাই অর্থনীতির গতিকে চলমান রাখতে ও ভর্তুকি কমাতে দ্রুততম সময়ে ট্যারিফ সমন্বয়ের জন্য বিলটি আনা হয়েছে।
এরপর কণ্ঠভোটে জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমামের আপত্তি নাকচ হয়ে যায়।