ইসরায়েলকে ‘সীমালঙ্ঘন’ না করতে হুঁশিয়ারি জর্ডানের রাজার

অবৈধ দখলদার ইসরায়েলকে ‘সীমা লঙ্ঘন’ না করতে হুঁশিয়ারি দিয়ে জর্ডানের রাজা আব্দুল্লাহ সরাসরি বলেছেন, যদি এ নিয়ে অবৈধ দখলদার ইসরায়েল কোনো যুদ্ধে জড়াতে চায় এর জন্যও জর্ডান প্রস্তুত আছে। ইসরায়েলের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে মুসলিম এবং খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর জিম্মাদারি পরিবর্তন করার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু আমাদের একটি সীমা আছে। যদি তারা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায়্, আমরা প্রস্তুত আছি। আমি বলব অর্ধেক পূর্ণ একটি গ্লাসের দিকে তাকান, কিন্তু আমাদের একটি নির্দিষ্ট সীমা আছে। কেউ এ সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা করলে আমরা জবাব দেব।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এসব হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলে আগামী ২ জানুয়ারি গঠিত হতে যাচ্ছে নতুন জোট সরকার। যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে উগ্রডানপন্থি সরকার হবে। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে, নেতানিয়াহুর উগ্রবাদী জোট মুসলিমদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থাপনা আল-আকসা মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। বর্তমানে আল-আকসার সব দায়িত্ব জর্ডানের রাজার হাতে।

নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে গঠিত সরকারে এমন কিছু ব্যক্তি আছেন যারা চরম উগ্রপন্থী। আর এ বিষয়টি অবৈধ দখলদার ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে নতুন সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে। এছাড়া অবৈধ দখলদার ইসরায়েল-আরব বিশ্বের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়েও আশঙ্কা চলছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় ২০২২ সালটি ফিলিস্তিনিদের জন্য ছিল রক্তক্ষয়ী একটি বছর। প্রায় প্রতিদিনই ফিলিস্তিনিদের গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। জর্ডানের রাজা আব্দুল্লাহ বলেছেন, যদি এমনটি চলতে থাকে তাহলে নতুন করে বিদ্রোহে জড়িয়ে পড়তে পারেন ফিলিস্তিনিরা।

এদিকে ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল। ১৯২৩ সাল থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদসহ অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর জিম্মাদারি রয়েছে জর্ডানের হাতে। কিন্তু যুদ্ধের পর সেটির নিয়ন্ত্রণ তাদের হাত থেকে চলে গিয়েছিল। এরপর ১৯৯৪ সালে একটি শান্তি চুক্তির মাধ্যমে জর্ডানের কাছে আবারও এর নিয়ন্ত্রণ বুঝিয়ে দেয় ইসরায়েল।