| |
               

মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আবার মাঠে নেমেছে : শিক্ষামন্ত্রী


স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আবার মাঠে নেমেছে : শিক্ষামন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     16 December, 2022     05:18 PM    


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আজকে শহীদের রক্তস্নাত এই বাংলায় তাদের দেওয়া বিজয়ের দিনে দাঁড়িয়ে অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি কোনো অপশক্তিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অগ্রযাত্রাকে নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেব না। আজকের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আবার মাঠে নেমেছে। যারা তাদের শাসনামলে দুঃশাসন কায়েম করেছিল, দুর্নীতি দুঃশাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, সাংবাদিক নির্যাতন, নারী নির্যাতন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। সেই দুঃশাসনকে মানুষ কীভাবে বিশ্বাস করবে? তাই তাদের অনেক রকমের আস্ফালন ও কথা সত্ত্বেও মানুষ তাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছে না। মানুষকে সাথে না পেয়ে এখন তারা বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশি লবিস্ট নিয়োগ করেছে।

আজ (১৬ ডিসেম্বর) শুক্রবার ঢাকা কলেজের শহীদ আ. ন. ম. নজির উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। বক্তব্য দেন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ টি এম মইনুল হোসেন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। স্বাগত বক্তব্য দেন মহান বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মনিরা বেগম।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন,  আজকে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। এগোতে হবে আরও বহুদূর। শুধুমাত্র স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।  সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প ছড়িয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায় না। সাম্প্রদায়িক, খুনি ও তাদের দোসরদের যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। আমাদের এই স্বাধীনতায় যত রক্ত ঝরেছে, পৃথিবীর আর কোনো জাতিকে এত রক্ত তাদের স্বাধীনতার জন্য দিতে হয়নি। আমাদের অসংখ্য শিক্ষার্থী এবং অসংখ্য শিক্ষক রক্ত দিয়েছেন। আমরা গত দুদিন আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছি। সেখানে এখন পর্যন্ত যে তালিকা পাওয়া যায় তাতে ১১১১ জন বুদ্ধিজীবীর মধ্যে ৯৬০ জনেরও বেশি শিক্ষক। শুধুমাত্র দেশকে মেধাশূণ্য করতেই নয় বরং প্রতিহিংসার বসে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। কারণ, তারা সবাই বঙ্গবন্ধুর সেই স্বাধীনতা সংগ্রামের সহযোদ্ধা ছিলেন, অনুসারী ছিলেন। তারা মানুষকে যার যার জায়গায় থেকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। নির্বাচনে জিতলেও পাকিস্তান যে তাকে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে মানুষের অধিকার আনতে হবে সেটা তিনি ১৯৬৯ সালেই বলেছিলেন। তিনি যা বলেছেন তাই সত্যি হয়েছে। কারণ, তিনি বাঙালির ইতিহাস, অতীত ও ভবিষ্যৎ জানতেন। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটের ভাষণে তিনি স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়া বাকি সকল নির্দেশনা ও শর্ত দিয়ে গিয়েছিলেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী তকমা পাওয়া থেকে বাঁচতে শুধুমাত্র স্বাধীনতার ঘোষণা করেননি।