সকলকে স্বাধীন রাজনীতি করার সুযোগ দিন : ইউনুছ আহমাদ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, আধুনিক রাষ্ট্রে বহুদলীয় রাজনীতির সর্বজন স্বীকৃত পন্থা। এই পন্থায় পরস্পর বিরোধী একাধিক দল থাকবে এবং তারা প্রতিযোগিতা করবে এটাই সৌন্দর্য। বাংলাদেশের সংবিধানে শাসন ক্ষমতার জন্য প্রতিযোগিতা করা, নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকা, ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করা এমনকি সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করাও বৈধ বরং এটা আমাদের রক্তে কেনা অধিকার। সকলকে সুস্থ্য, স্বাধীন রাজনীতি করার সুযোগ করে দিন।

আজ (১৩ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যারয়ে অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মজলিসে আমেলার উদ্যোগে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ লতিফ, জি এম রুহুল আমীন, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা নূরুল ইসলাম আল আমিন, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, এ্যাডভোকেট মোঃ লুৎফর রহমান শেখ, আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ মকবুল হোসাইন প্রমুখ।

ইউনুছ আহমাদ বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যে রাজনীতি চর্চা করছে তাকে দমনমূলক রাজনীতি ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। তবে সমকালে দমনমূলক রাজনীতিও বিরোধীদলের শীর্ষ নেতাদের একধরনের উন্মুক্ত রাজনীতি করার সুযোগ দেয়। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো বাংলাদেশে সাম্প্রতিক এই ভদ্রতাও রক্ষা করা হচ্ছে না। ৫১ বছরের স্বাধীন একটা দেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের এভাবে গ্রেফতার করা এবং রিমান্ডের নামে হয়রানী করা রীতিমত অভদ্রতা এবং দমনমূলক রাজনীতির নিকৃষ্টতম উদহারণ। এটা কোনভাবেই সমর্থন করা যায় না। অতএব বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের শীর্ষ নেতৃত্বদের; যাদেরকে হয়রানীমূলক মামলায় আটক করা হয়েছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিন এবং তাদের নামে দায়েরকৃত হয়রানীমূলক রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করুন।