রহমত নিউজ ডেস্ক 29 November, 2022 07:04 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ পালানোর দল না, কোনোদিন পালায়নি। কোনও অনির্বাচিত ব্যক্তির অধীনে জনগণের ক্ষমতা দেওয়া যাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচন হবে না, আগেই আদালত রায় দিয়েছেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে। বাংলাদেশে আর কোনোদিন আজিজ-সাদেক মার্কা নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ঢাকা উল্টে-পাল্টে ফেলবে, ২৫ লাখ লোক সমাগম করবে। সেখানে ২৫০০ লোকও আসবে না।’
আজ (২৯ নভেম্বর) মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কাশিয়ানী উপজেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও গোপালগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও এস এম কামাল হোসেন এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নার্গিস রহমান। এর আগে, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সম্মেলনের কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজী জাহাঙ্গীর আলমের নাম ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
শেখ সেলিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ওরা স্বাধীনতাকে হত্যা করেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছে, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি হত্যা করেছে, স্বাধীনতার চেতনাকে হত্যা করেছে। বিএনপি খুনিদের দল। জিয়াউর রহমান এ দল সৃষ্টি করেছে। এরা কোনও রাজনৈতিক দল না। এরা পাকিস্তানের এজেন্ট। একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও বিএনপি এক হয়ে সরকার পতন ঘটাতে চায়। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে একটি নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে একাত্তরের পরাজিত শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে। ওরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয়, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে। পরে যারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে কারাগারে ছিল, তাদেরকে বের করে এনে জিয়াউর রহমান দল গঠন করে। তাদের কাছ থেকে আজ আমাদের মানবতা ও গণতন্ত্র শিখতে হবে? একাত্তর সালে পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সাহস পায়নি। অথচ বঙ্গবন্ধু যে বাঙালি জাতির জন্য সারাজীবন কষ্ট করেছেন, তারাই তাকে হত্যা করে।