‘বিএনপি রাজশাহীতে কয় লাখ লোক আনতে পারে দেখতে চাই’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন-রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, অতীতে আমরা দেখেছি, রাজশাহী মাদরাসা মাঠের রাস্তা ঠিকমতো ভরাট করতে পারে না বিএনপি। ৩ ডিসেম্বর বিএনপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, বগুড়া, রাজশাহী জেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে রাজশাহীতে কয়টা লোক আনতে পারে, কয় লাখ লোক আনতে পারে সেটা আমরা দেখতে চাই।

আজ (২৭ নভেম্বর) রবিবার সন্ধ্যায় ‘বিএনপির অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাহ মখদুম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আখতারুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ও ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহাদত হোসেন শাহুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু। এর আগে নগরীর বিমান চত্বরে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি নওদাপাড়া বাজারে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মেয়র লিটন বলেন, দেশের উন্নয়নকে স্তব্ধ করার জন্য চক্রান্ত করছে বিএনপি। বাংলাদেশ শ্রীলংকা হবে, ডলার নেই, বাংলাদেশের আমদানি করার মতো অর্থ নেই- এসব যারা বলছে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। খালেদা জিয়া কারাগারে ছিলেন। নেত্রী শেখ হাসিনার বদন্যতায় তাকে বাসভবনে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি নড়তে পারেন না, চড়তে পারেন না, একজন অসুস্থ মানুষ। বিএনপির ঘোষণা অনুযায়ী তিনি ১১ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ চালাবেন এটি কি বিশ্বাসযোগ্য? তার সন্তান লন্ডনে বসে আছে। মানি লন্ডারিং কেসে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আর খালেদা জিয়া এতিমের অর্থ আত্মসাৎ মামলার আসামি। দুইজনই ইতোমধ্যে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়ে গেছেন। তারা এসে বাংলাদেশে কী নির্বাচন করবেন, কীভাবে ক্ষমতা নেবেন, এটি আমাদের বোধগম্য নয়।

তিনি আরো বলেন, তারেক জিয়া লন্ডনে বসে বর্তমান বিশ্বকাপে নিজেকে জুয়াড়ি হিসেবে ইংল্যান্ডের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। যে কুলাঙ্গার প্রকাশ্যে নিজেকে জুয়াড়ি হিসেবে ঘোষণা দেয়, তাকে বাংলাদেশের মানুষ কখনো মেনে নিতে পারে? পারে না। বিএনপি বলছে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাব না। নির্বাচন হতে দিব না।’ এটি বিএনপি ও তাদের সঙ্গে যারা আছে তাদের কথা। দেশটা কি বিএনপি-জামায়াতের বাপ-দাদার তালুক, যে তাদের কথায় চলবে। সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে রায় এসেছে যে, আর কেয়ারটেকার সরকারের দরকার নেই। উন্নত বিশ্বে ভারত, ইংল্যান্ড ইত্যাদি দেশে ক্ষমতাসীন সরকার বহাল থেকে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেইভাবে নির্বাচন হবে।

এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: রাজশাহী