| |
               

মূল পাতা সারাদেশ মহানগর ১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক


১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক


রহমত নিউজ ডেস্ক     26 November, 2022     07:50 PM    


মহাসড়ক থেকে নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ না করা হলে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী বিভাগে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে পরিবহন মালিক সমিতি।

আজ (২৬ নভেম্বর) শনিবার দুপুরে নাটোরে এক কমিউনিটি সেন্টারে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম। তিনি পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবি–দাওয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাঁদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।

এদিকে আগামী ৩ ডিসেম্বর জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নজিরবিহীন লোডশেডিং, সারাদেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে হত্যার প্রতিবাদ ও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে রাজশাহী বিভাগীয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আগমন ঘটবে। বিএনপির ভাষ্য, অন্যান্য গণসমাবেশের মতো রাজশাহীর গণসমাবেশে মানুষকে আসতে বাধা দিতে এই পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আজ দুপুরে তাঁরা নাটোরে বসেছিলেন। সভায় রাজশাহী বিভাগের আট জেলার সব পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজশাহী বিভাগের মহাসড়ক থেকে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ না করা হলে তাঁরা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট দেবেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিআরটিএ বরাবর আগামী দুই–এক দিনের মধ্যে নিজ নিজ জেলার পরিবহন মালিক সমিতি আবেদন জমা দেবে। বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই। তাঁরা এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কথা বলে আসছেন। বিভিন্ন সময় প্রশাসনকে এ বিষয়ে চিঠিপত্র দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেও তাঁরা সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ধর্মঘটের বিষয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, কিছু উৎসাহী পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সরকারকে এই পরিবহন ধর্মঘটের মাধ্যমে সহযোগিতা করছেন। তাঁরা এ দেশের ৯৫ ভাগ মানুষের বিরুদ্ধে শুধু ধর্মঘট নয়, হরতাল ডেকেছেন। অর্থাৎ তাঁরা জনগণের বিরুদ্ধে হরতাল ডেকেছেন। প্রত্যেকটা সমাবেশের আগে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও সমাবেশ বিপুলভাবে সফল হয়েছে। যত ধর্মঘট আর যা–ই দেওয়া হোক না কেন, রাজশাহীতে আগামী ৩ ডিসেম্বর হচ্ছে ঢাকার বাইরে শেষ গণসমাবেশ। ওই দিন সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ হবে। শুধু সমাবেশস্থল মাদ্রাসা মাঠ নয়, পুরো রাজশাহী শহর জনসমুদ্রে পরিণত হবে। আর এই সমাবেশের মাধ্যমে তাঁরা প্রমাণ করে দেবেন, এ ধরনের ধর্মঘট-হরতাল ডেকে বিএনপির সমাবেশ কোনোভাবেই ব্যর্থ করা যাবে না।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: রাজশাহী