রহমত ডেস্ক 17 November, 2022 05:55 AM
আগামী এক মাসের মধ্যে ইসিতে আবেদনকারী দলগুলোকে নিবন্ধন দিতে হবে, তা না হলে দলসমূহকে নিয়ে ইসির কার্যালয় ঘেরাও করা হবে বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, আমরা ইসির শর্ত মেনে আবেদন করেছি, আমরা অবশ্যই নিবন্ধন পাবো। কারণ তাদের শর্তের চেয়ে বেশি কাগজপত্র জমা দিয়েছি। ইসির এই আইন সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী। তাই আমরা এটিকে একটি কালো আইন বলছি। আগামী এক মাসের মধ্যে ইসিতে আবেদনকারী দলগুলোকে নিবন্ধন দিতে হবে, তা না হলে দলসমূহকে নিয়ে ইসির কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কালো আইন বাতিল ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় নুর বলেন, এই সরকার বিরোধীদের ভয় দেখাচ্ছে, সরকার বলছে, বিরোধীদেরও ৫ মে এর মতো অবস্থা করা হবে। আমরা বলবো সেই সুযোগ সরকারকে দেয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, এ সরকারের কাছ থেকে ৫ মে শাপলাচত্বরে হত্যাকান্ডের জবাবদিহিতা নিতে হবে। এছাড়া পিলখানায় বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য এই সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
এই সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে নুর বলেন, সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিলে ছাত্রলীগকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে রাজনীতিতে মেধাবীদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা মেধাবীদের রাজনীতিতে আসতে সুযোগ করে দিতে চাই, মেধাবীরা জেগে উঠেছে। এই দেশ মেধাবীদের হবে।
সরকার পতনের আন্দোলন প্রসঙ্গে নুর বলেন, এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে যে কারও সঙ্গে আন্দোলন করতে আমরা প্রস্তুত। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না, তা ১৮ সালে প্রমাণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা ১৮ সালে দেয়া কথা রাখেননি, তাই তাকে আর বিশ্বাস করা যাবে না। আমরা এই সরকারের পদত্যাগের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দেবো। সেখানে কোন রাজনৈতিক দলের কেউ থাকতে পারবে না এবং অন্তবর্তীকালীন সরকারের কেউ আগামী দুই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। দলীয় সরকারের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তারা হবে ফ্যাঁসিবাদের দোসর। আর গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিবন্ধনের যে কালো আইন রয়েছে তা অতিক্রম করবো।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, আবু হানিফ, মেজর মশিউজ্জামান, ড. মালেক ফরাজী, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, শাকিলউজ্জামান, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহকারি আহ্বায়ক খায়রুল কবীর, যুগ্ম সদস্যসচিব আতাউল্লাহ,আব্দুজ জাহের, তারেক রহমান, মাহবুব জনি প্রমুখ।