| |
               

মূল পাতা জাতীয় মর্যাদা বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে : প্রধানমন্ত্রী


মর্যাদা বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে : প্রধানমন্ত্রী


রহমত নিউজ     10 November, 2022     06:33 PM    


বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীসহ সকলের কৃতিত্বের উল্লেখ করে মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে এসেছি। মর্যাদা বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

আজ (১০ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কম্বল ও শীতবস্ত্র গ্রহণকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

একটি আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামে মালয়েশিয়ার নেতা মাহাথির মোহাম্মদের সাথে আলোচনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানে মাহাথির বলেছিলেন যে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী সরকারের প্রয়োজন। আমরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে পেরেছি, আমি বললাম, দেখেন জনগণ কতক্ষণ ভোট দেবে না দেবে সেটা তো বলতে পারি না। যদি ভোট পাই হয়তো থাকবো। কারণ আমাদের দেশে তো পরিবেশটা অন্য রকম। দীর্ঘদিন মিলিটারি ডিক্টেটর ছিল, কখনো ডাইরেক্টলি কখনো ইনডাইরেক্টলি তারা ক্ষমতা দখল করে, আবার উর্দী খুলে রাজনীতিবিদ হয়। আর হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র এটা তো আমাদের দেশে লেগেই আছে। আমাদের তো ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক ধারা থাকে না এই দেশে। যার জন্য একটা স্থিতিশীল পরিবেশও কখনো আসেনি। যেজন্য সার্বিক উন্নতিটা ঠিক হয়নি।  বাংলাদেশ যা কিছু অর্জন করেছে তাতে আপনাদের (ব্যবসায়ী) এবং জনগণের অবদান রয়েছে। বাংলাদেশের যে সম্মানটা আজকে আন্তর্জাতিকভাবে আছে এটা যেন অব্যাহত থাকে। আমরা যেন বাংলাদেশটাকে একটা সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে এসেছি এটা ধরেই যেন এগিয়ে যেতে পারি।

করোনা ভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথাও প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যাই হোক, যতটুকু অর্জন আমি মনে করি এটা আপনাদের সকলেরই অবদান। বাংলাদেশের জনগণের অবদান। আমি তাদেরকেই ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে, অনেক দিন তো হয়ে গেল। মানুষকে তো এক সময় বিদায় নিতেই হবে এটা তো আল্লাহই বলে দিয়েছেন। সেটাও আল্লাহর ইচ্ছা যেদিন যেতে হয় চলে যাবো। এখান থেকেও, এই চেয়ার থেকেও চলে যাবো, আবার জীবন থেকেও চলে যাবো। যেতেই হবে। এটা হলো বাস্তবতা। যেদিন যাবার সময় হবে। আর সময় না হলে ততদিন তো কাজ করতেই হবে। আল্লাহ যতক্ষণ সুযোগ দিয়েছেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের সঙ্গে নির্মমভাবে হত্যা করার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডটাতো শুধু হত্যাকান্ড নয়। আপনারা একবার চিন্তা করেন তো, ১০ বছরের একটা শিশুর কি অপরাধ ছিল? তাকেও শেষ করেছে। কেন? ওই রক্তের কেউ যেন এই দেশে আর ক্ষমতায় আসতে না পারে। এটাই তো ছিল, খুনীদের আকাঙ্খা।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। পরে ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দলের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে নির্মম সেই হত্যাকান্ডের সময়ের স্মৃতিচারণ করে সরকার প্রধান জানান, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে তার বিদেশ সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল এবং সফর শেষে তার মেয়েদের দেশে ফিরিয়ে আনার কথাও ছিল। দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলায় বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে। এই খেলাধুলার ক্ষেত্রে আমার মনে হয় আমাদের সকলের বিশেষ করে আপনাদের একটু সহযোগিতা বেশি করা উচিত। খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এটা যদি সকলে উৎসাহিত না করি তাহলে এই ছেলে-মেয়েগুলো তাদের ভবিষ্যত কি? তারা যত বেশি খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চার মধ্যে থাকবে তত বেশি এই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকের থেকে দূরে থাকতে পারবে এবং দেশের উন্নতি হবে। এটা হলো বাস্তবতা। শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যাদের রয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠানে খেলোয়াড়দের চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়ার কথাও বলেন শেখ হাসিনা।