রহমত নিউজ 23 October, 2022 10:40 PM
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, কাদিয়ানী সম্প্রদায় মুসলমানদের ঈমান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। হযরত মুহাম্মদ সা.কে শেষ নবী না মেনে তারা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে নবী মানে, বিধায় তারা কাফের। তাই তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। বাংলাদেশে অন্যান্য সম্প্রদায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য সম্প্রদায় যেভাবে বসবাস করে তারাও কাদিয়ানী সম্প্রদায় হিসেবে বসবাস করবে। এতে করে মুসলমানদের তারা ধোকা দিতে পারবে না। এখন তারা নিজেদেরকে মুসলমান দাবি করে বিভিন্ন সরলমনা মুসলমানদের ঈমান হরন করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেীদী, কাতার, কুয়েত, ব্রুনাই, পাকিস্তান, দুবাই, ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোতে অমুসলিম হিসেবে পরিচিত। কাজেই বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে তাদেরকে অমুসলিম হিসেবে ঘোষণা করে সরকার ঈমানদার মুসলমানর প্রাণের দাবি মেনে নিন।
শনিবার (২২ অক্টোবর) গুলিস্তান কাজী বশির মিলনায়তনে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ আয়োজিত উলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউনুছ আহমাদ আরো বলেন, আমরা মুসলমান। আমাদের বিশ্বাস হলো হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল। তারপরে নতুন করে কেউ নবী রাসুল হিসেবে আগমন করবে না। এটা কুরআন-সুন্নাহ ইজমা-কিয়াসের সর্বসম্মত বক্তব্য। উপরোক্ত বিষয়টি দ্বীন ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস। যা অস্বীকার করলে কিংবা সন্দেহ পোষণ করলে ঈমান থাকে না। অথচ তথাকথিত 'আহমদীয়া মুসলিম জামাত' নামধারী কাদিয়ানীরা নিজেদের মুসলিম দাবি করলেও উল্লেখিত বিশ্বাসটি অস্বীকার করে। যার ফলে তারা মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাস থেকে বের হয়ে যায়। তাদের নতুন এক ধর্ম বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়, সেটা হল কাদিয়ানী ধর্মমত। অতএব ইসলামের সকল পরিভাষা যেমন কালিমা, নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত, মসজিদ, আজান, ইকামত, নবী, মাহদী শব্দ ইত্যাদি তাদের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।