বাংলাদেশের গণতন্ত্র জনগণের নয় : আবদুর রব

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, বিরোধীদলের কর্মসূচিতে সরকার হামলা করছে। সরকার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র জনগণের নয়। এখনকার গণতন্ত্র রাজনৈতিক দলের গণতন্ত্র। ৯৬ শতাংশ মানুষ রাজনীতি করে না। তারা শ্রমজীবী ও পেশাজীবী। আমরা তাদের মতামত নিতে চাই এবং তাদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ চাই। আমরা সমাজের সবার সঙ্গে মতবিনিময় করব।

আজ (২১ সেপ্টেম্বর) বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, ড. আসিফ নজরুল, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, হাসনাত কাইয়ুমসহ গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

আ স ম আবদুর রব বলেন, বলা হচ্ছে, নির্দেশ ছাড়া হামলা করা যাবে না। তাহলে আগের হামলাগুলো নির্দেশ দিয়ে হয়েছে? পালাবার রাস্তা পাবেন না। যাদের আত্মীয় স্বজনকে মেরেছেন তারা ধরবে। আমরা বলে দিবো ধরার জন্য। আমরা বিভিন্ন পেশাজীবীর সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানে কমিশন গঠন করব। আমরা কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দেব না। বাংলাদেশে রাজনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। যারা নির্যাতিত হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হয়েছে। এই রাষ্ট্র আর রাষ্ট্র নেই। এই রাষ্ট্র জনগণের রাষ্ট্র নয়। এই রাষ্ট্রের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি।

তিনি আরো বলেন, পাশের দেশের বক্তব্য হলো কোনো ব্যক্তির সঙ্গে নয়, রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক। এর মাধ্যমে সিগন্যাল দিয়ে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে, শেখ হাসিনাকে আর ক্ষমতায় রাখা হবে না। আশির দশকের লড়াই সম্ভাবনাময় একটি লড়াই ছিল। সবার অংশগ্রহণে এরশাদের পতনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার কথা ছিল। কিন্তু এর পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলেও দেশে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি। ডলার সংকটের সময়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ইভিএম কিনছেন। নির্বাচন না হলে এই ইভিএম দিয়ে কী হবে। এই ডলারের টাকা কে দেবে। এই সরকার ও নির্বাচনের অধীনে তো নির্বাচন হবে না। জনগণ এই নির্বাচন মেনে নেবে না।