রহমত ডেস্ক 15 September, 2022 08:29 PM
পুলিশের মহাপরিদর্শক-আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, কেউ অপরাধী হিসেবে জন্ম নেয় না। সমাজ, পরিবেশ ও পরিস্থিতি তাকে অপরাধীতে পরিণত করে, যেসব পরিস্থিতি একজন মানুষকে অপরাধী করে সেসব পরিস্থিতি যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে সমাজ থেকে ধীরে ধীরে অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব। আমরা চেষ্টা করতে পারি শূন্য অপরাধ হয় এমন সমাজ কায়েম করার। চাকরির পেছনে না দৌড়ে উদ্যোক্তা হতে হবে। উদ্যোক্তা হলে দেশের অর্থনৈতিক যে সমৃদ্ধি তা দ্রুত গতিতে হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার বিকালে লংবিচ হোটেলের বলরুমে র্যাব আয়োজিত ‘নবজাগরণ : অপরাধকে না বলুন’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রমুখ।
আইজিপি বলেন, জঙ্গিবাদে জড়িয়ে নিজের ভুল বুঝতে পেরে যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে তাদের জীবনে মারাত্মক ঝুঁকি ছিল। সেই সময়ে আমরা যারা র্যাবে কাজ করেছি তাদের জীবনেরও ঝুঁকি ছিল। সেটা করতে গিয়ে আমাদের অভিনব কাজ করতে হয়েছে। যা এখনো প্রকাশ্যে বলার সময় হয়নি। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে জঙ্গিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিজ উদ্যোগে ও স্বেচ্ছায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে। এমন ঘটনাও আমরা দেখেছি, জঙ্গি থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে সন্তানকে র্যাবের হাতে তুলে দিয়েছেন বাবা-মা৷ আত্মসমর্পণ করা জঙ্গিদের আমরা সমাজে পুনর্বাসিত করেছি। আজকে বলি সেই পুনর্বাসন ব্যবস্থা তখন ততটা সহজ ছিল না। সুন্দরবনে ৪০০ বছরের জলদস্যু সমস্যা ছিল সেটি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে নিশ্চিহ্ন করেছি। তা কিন্তু শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে নয় সমঝোতার মাধ্যমে করা হয়েছিল। জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের মধ্যেই র্যাব থেমে থাকেনি, প্রায় ৩০০ জলদস্যুকে এখনো বিভিন্নভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে র্যাব। এই জলদস্যু এখন সমাজের মূলধারায় ফিরে গিয়ে স্বাভাবিকভাবে জীবন-যাপন করছে।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: চট্টগ্রাম কক্সবাজার কক্সবাজার সদর