| |
               

মূল পাতা জাতীয় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করতে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার


পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করতে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার


রহমত ডেস্ক     14 August, 2022     10:00 AM    


ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। সরকারের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে আসছেন তিনি। মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করতে তাকে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ব্যাচেলেটের রোববার (১৪ আগস্ট) ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সফরে এসে তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। পরে তিনি কক্সবাজারের একাধিক রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যাবেন।

সফরে থাকাকালে ব্যাচেলেট পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে ব্যাচেলেটের।

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের সফরকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, এ সুযোগে মানবাধিকার বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করবে সরকার। মানবাধিকার ঠিক রেখে বাংলাদেশের উন্নয়নের অবস্থা তুলে ধরা হবে তার কাছে।

মানবাধিকার প্রধান দেখানো হবে, ১৬৫ মিলিয়নের দেশ বাংলাদেশ গৃহহীনদের প্রায় এক মিলিয়ন বাড়ি দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ১০ মিলিয়নেরও বেশি পরিবার খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ পাচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জনগণের শান্তি এবং নিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণ, রোহিঙ্গা সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের মতো প্রতিবন্ধকতাগুলো যথাযথভাবে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ব্যাচেলেটের ঢাকা সফর নিয়ে শনিবার বিবৃতি প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, তার সফরকে ঘিরে সরকারের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টির উপলক্ষ হিসেবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কিছু দৃশ্যমান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘের একটি দায়িত্বশীল এবং প্রতিক্রিয়াশীল সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য হাইকমিশনারের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার জন্য উন্মুখ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ মানবাধিকারের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে হাইকমিশনার অবগত রয়েছেন।