রহমত ডেস্ক 06 August, 2022 10:31 PM
হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কড়া সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আইএমএফ থেকে ঋণ নিতেই মধ্যরাতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। জ্বালানি তেলের এই মূল্যবৃদ্ধি ভয়ংকর প্রভাব ফেলবে দেশের সমগ্র অর্থনীতির ওপর।
শনিবার (০৬ আগস্ট) বেলা দুইটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদলের জেলা সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল এই সমাবেশ করে।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘সরকার এত দিন মিথ্যাচার করেছে, রিজার্ভে এত টাকা আছে, এত ডলার জমা আছে যে কোনো চিন্তার কারণ নেই। কিন্তু এখন রিজার্ভ কমে যাওয়ায় আইএমএফ থেকে কঠিন শর্তে সরকার ঋণ নিচ্ছে—যার ফলেই জ্বালানি তেলের এই মূল্যবৃদ্ধি।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার শুধু যে বিরোধী দলের ওপর আক্রমণ করছে তা নয়, সরকার তার অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে যে আকাশ প্রমাণ দুর্নীতির মধ্য দিয়ে দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, এর আরেকটি প্রমাণ মধ্যরাতে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৫০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া।’
দেশের সমগ্র অর্থনীতির ওপর জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিবহনভাড়া বেড়ে যাবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য চাল-ডাল-আটা-তেলের দাম আবার দ্বিগুণ থেকে দ্বিগুণ হয়ে যাবে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছে সাড়ে চার শত কোটি ডলার। কারণ, এত দিন ধরে যে মিথ্যাচার করে এসেছে, রিজার্ভে তাদের এমন টাকা আছে, এত ডলার জমা আছে যে তাদের কোনো চিন্তার কারণ নেই। কিন্তু আজকে রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে আইএমএফ, এডিবি এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, আইএমএফের ঋণের শর্ত খুব শক্ত। তারা বলছে, কোথাও সাবসিডি (ভর্তুকি) না দিতে ও তেলের ওপর ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করতে; যেসব পণ্যের ওপর ভর্তুকি দেওয়া আছে, সেসব পণ্যের ওপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে। এর ফলে আজকে এটা করা হচ্ছে।