| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে সারাবিশ্বের মানুষ হাততালি দিচ্ছে’


‘বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে সারাবিশ্বের মানুষ হাততালি দিচ্ছে’


রহমত ডেস্ক     01 August, 2022     04:30 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা চাই না দেশটা শ্রীলঙ্কার মতো হোক। শ্রীলঙ্কার অবস্থা আমরা দেখেছি, এখন মনে হচ্ছে ধীরে ধীরে বাংলাদেশ সেই পথে আগাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার সংকট শুরু হয়েছিল লোডশেডিং থেকে। আমাদের দেশেও সেই অবস্থা শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগে শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতারা বলেছিলেন লোডশেডিংকে তারা জাদুঘরে পাঠিয়েছেন। আমার প্রশ্ন লোডশেডিং কি এখন জাদুর ঘরে, নাকি আপনার আমার ঘরে । এই সরকার যে রাজনীতি করে তার নাম- কথা বলার রাজনীতি। তারা জনগণকে বোঝাচ্ছে এই দেশ উন্নয়নের রোল মডেল। সারাবিশ্বের মানুষ হাততালি দিচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে। অথচ তাদের তিন মাসের আমদানি ব্যয় আছে কি না, এটা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। জনগণকে সব সময় ভুল তথ্য তারা দিয়ে এসেছে। 

আজ (১ অগাস্ট) সোমবারজাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী গার্মেন্টস দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সভাপতি মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশিদ হারুন, গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. সারোয়ার হোসেন রুবেল, নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের হুমায়ুন কবির বেপারী, তাঁতিদলের যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনির, কল্যাণ পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান তামান্নাসহ অন্যান্য নেতারা।

হাফিজ বলেন,  সরকার বলছে বাংলাদেশের রিজার্ভ ৩৯ মিলিয়ন ডলার, আর যারা সারাবিশ্বের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি মনিটরিং করেন তারা বলছে, বাংলাদেশের রিজার্ভ ৩০ মিলিয়ন ডলার। শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু আয় আমাদের চারগুণ ছিল। সেই দেশটি কেন আজ দেউলিয়া হয়ে গেলো। দুঃশাসনের কারণে, একটি পারিবারিক শাসনের কারণে। আমরা সেনাবাহিনীতে যদি সংগ্রাম না করতাম তাহলে এ দেশ কখনোই স্বাধীন হতো না। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের কারণে, মুক্তিযুদ্ধ করেছি আমরা। সৈনিকরা এবং লড়াকু ছাত্রসমাজ, এ দেশের ছাত্রসমাজ প্রত্যেকটি আন্দোলনের সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সব পরিবর্তনে তাদের অংশগ্রহণ ছিল। আমি আশা করবো এই তরুণ সমাজ বিশেষ করে ছাত্রসমাজ তারা এগিয়ে আসবে। এই অবৈধ সরকারকে বিদায় করার জন্য রাজপথে তাদের শক্তি প্রদর্শন করবেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে একান্তই গণতন্ত্রের সংকট। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও আমরা সেই গণতন্ত্রের দেখা পাচ্ছি না। স্বাধীনতার পর থেকে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। আজ দেশে কী ধরনের গণতন্ত্র আছে এটা সবাই জানে, এটা হচ্ছে লুটপাটের গণতন্ত্র। সুইস ব্যাংকে লুটারা বাঙালিদের রিজার্ভ বেড়ে যাচ্ছে। সরকার তো জিজ্ঞেস করছে না যে কারা এখানে টাকা রাখছে। গত এক বছরে দ্বিগুণ হয়েছে বাংলাদেশের জমা করা অর্থ। কিন্তু কারা এখানে জমা রেখেছে এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন সরকারের কাছ থেকে করা হয় না। সরকার চাইলে আদালত থেকে নোটিশ দিলে যে কোনো ব্যাংক হিসাব দিতে বাধ্য। বাংলাদেশ সরকারের সে বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই।

তিনি আরো বলেন, আজকে সারাবিশ্বে বর্তমান সরকার একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার হিসেবে পরিচিত হয়েছে। তারা জনগণের জান-মালের কোনো তোয়াক্কা করে না। এ কোন ধরনের বাংলাদেশে আমরা বসবাস করছি, যেখানে নির্বাচনের আগের রাতে ভোট হয়ে যায়। পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্রে সংসদ বহাল রেখে সংসদ নির্বাচন হয় না, শুধু বহাল রয়েছে বাংলাদেশে। ধীরে ধীরে আওয়ামী লীগ জনগণের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এটা তাদের একমাত্র উপায় পুলিশ দিয়ে গুলি করে এ দেশে অবৈধভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা। তারা লুটপাট ও অবৈধ শাসন চালিয়ে যাবে।