| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি দেশের মানুষ বিপদাপন্ন, বড়ই কষ্টে আছে : নজরুল ইসলাম


দেশের মানুষ বিপদাপন্ন, বড়ই কষ্টে আছে : নজরুল ইসলাম


রহমত ডেস্ক     31 July, 2022     02:32 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এই প্রতিবাদ শুধু বিএনপির না, এই প্রতিবাদ এদেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের। কারণ এদেশের মানুষ আজ বিপদাপন্ন, বড়ই কষ্টে আছে। আজকে যেভাবে দেশ চলছে তাতে তারা অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। সরকারে আছেন আমরা জানি তারা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হননি। রাতের বেলা ভোট করে তারা ক্ষমতা দখল করে আছেন। যেহেতু তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, সেকারণে জনগণের কাছে তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।  যদি থাকতো তাহলে জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্যে তারা কাজ করতেন। তারা নিজেদের আপন লোকদের স্বার্থে কাজ করছেন বলে দেশের মানুষ অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে পড়েছে এবং আরও বেশি দুর্দশার আশঙ্কা করছে।

আজ (৩১ জুলাই) রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা জেলা সভাপতি ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের পরিচালনায় সমাবেশে  বক্তব্য দেন, ঢাকা জেলা বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন মাস্টার, কফিল উদ্দিন, দেওয়ান নাজিমুদ্দিন, নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ। এর আগে, সকাল ১০টা থেকে ঢাকা জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনের সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের জন্য রেকর্ড বলছে বাংলাদেশের এক বছরের যতো বাজেট তার চেয়েও বেশি ব্যয় করা হয়েছে। বলা হয়েছিল আমাদের যতটা প্রয়োজন তার চেয়ে দ্বিগুণ উৎপাদন ক্ষমতা হয়ে গেছে। আমরা বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে পারবো। অথচ আমরা দেখলাম রপ্তানি নয়, আরও আমদানির জন্য অনেক বেশি টাকায় আদানী গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। বিদ্যুতের লাইন এখনও বসেনি অথচ কোটি কোটি টাকা তাদেরকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে কুইক রেন্টাল নামক একটা আজব বিষয় আছে। সেই কুইক রেন্টালের নামে জনগণের পকেট কেটে প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা কিছু ব্যক্তিকে দেওয়া হচ্ছে। সেটা কী শুধু শুধু দেওয়া হচ্ছে নাকি সেই টাকার ভাগ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। না গেলে অপ্রয়োজনীয় এই খাতে কেন টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা যদি বেশি হয় তাহলে এত বেশি টাকা দিয়ে কুইক রেন্টালের সঙ্গে কেন বার বার চুক্তি বাড়াচ্ছি। এমনকি সংসদে আইন করা হয়েছে যে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো আদালতে আপনি মামলা করতে পারবেন না। জনগণের টাকা লুট করা হবে, আর জনগণ তার বিরুদ্ধে কোনো আদালতে যেতে পারবে না, এরকম অনাচার কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি আরো বলেন, আমরা সুইস ব্যাংকের কথা, সেকেন্ড হোমের কথা, বেগম পাড়ার কথা আগে কখনো শুনিনি। গত কয়েকবছর ধরে শুনছি, বেগম পাড়ায় বাড়ি হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন রাজনীতিবিদদের চেয়ে আমলা, ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বেশি। কারা সেই আমলা, ব্যবসায়ী আর কারাই বা রাজনীতিবিদ সেটা জানার অধিকার বাংলাদেশের মানুষের আছে। কিন্তু আমরা জানি সেটা আপনারা বলবেন না, কারণ এরা সব আপনাদের লোক। তাদের কাছ থেকে আপনারা বেনিফিট নেন বলেই তাদের কথা প্রকাশ করতে চান না। যারা অন্যায়ভাবে অর্থপাচার করে দেশটাকে পঙ্গু করে দিচ্ছে এটা তাদের পক্ষের সরকার।