রহমত ডেস্ক 24 July, 2022 03:55 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন— উনার কার্যালয়ে এলে চা খাওয়াবেন। তার আগে বলে দেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এনে দিচ্ছি। সেটা বলে দেন। তারপর চা-টা খাওয়া যাবে, অসুবিধা নেই। সবার আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নেন। অতি হালকা কথা বলে লাভ নেই। এই সমস্ত চা-টা খাওয়ার কথা বলে লাভ নেই। এবার একটাই কথা পদত্যাগ করুন, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে দেশকে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন।
আজ (২৪ জুলাই) রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অমানিশা : দুর্নীতি আর লুটপাটের খেসারত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অ্যাবের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন অ্যাবের সদস্য সচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, সহ সভাপতি প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, শাহাদাত হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, একমাত্র সমাধান হচ্ছে প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ, জবাবদিহিতামূলক সংসদ ও সরকার গঠন করা। আজ এত কিছু ঘটছে কেন। কারণ তাদের জবাবদিহি নেই। তাদের কোথাও কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। বিদ্যুতে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট ইনডেমনিটি। অর্থাৎ এখানে পুরোপুরি যা আনবেন, করবেন তা কোনো টেন্ডার ছাড়াই হবে। সেখানে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। কোনো কর্মকর্তাকে কোনো মামলা করা যাবে না। ইনডেমনিটি দিয়ে কীভাবে আশা করতে পারেন যে সেখানে দুর্নীতি হবে না। সেখানে কীভাবে সঠিকভাবে বিদ্যুতের প্রকল্প শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন, রেমিট্যান্স কমে আসছে, তারা চোখে সর্ষে ফুল দেখবেন। এখনই দেখা শুরু করেছে। যার জন্য এখন অনেক আবোল-তাবোল কথা বলতে শুরু করেছে। আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছি এবং পুরো দেশের মানুষকে আহ্বান করেছি— আসুন এই ভয়াবহ দুর্বৃত্তদের থেকে মুক্তি পেতে হলে এই ডাকাতদের হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজপথের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের পরাজিত করে ৭১ সালের স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করি।