রহমত ডেস্ক 22 July, 2022 10:58 PM
সম্প্রতি সংসদে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ আসনের এমপি ফখরুল ইমামের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সেদিন সংসদে থাকলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হতো। বিকৃত মিথ্যা তথ্য জাতীয় সংসদে একজন সাংসদ বলেছেন। যারা দেশকে পাকিস্তান-আফগানিস্তান বানাতে চায় তারা এটি ছড়াচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে মানুষকে যে উস্কানো হচ্ছে, এর কারণে কোথাও যদি অপ্রিতিকর ঘটনা হয় তার দায় কে নেবে। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চরম মিথ্যাচার হয়েছে। ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দেওয়া হচ্ছে, বলা হয়েছে। তথ্য যাচাই না করেই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করায় সবাইকে আরও দায়ীত্বশীল হতে হবে।
আজ (২২ জুলাই) শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে নিজের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বুলবুল সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, সদস্য মারুফা সুলতানা পপি, সদস্য রেমন্ড আরেং, সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আবদুছ ছাত্তার, জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ কদ্দুস, জেলার সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, তারিকুল হাসান তারেক, বদরুল আলম প্রদীপ প্রমুখ। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে গুজব রটানোর চেষ্টা হচ্ছে। শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে দেশ। অতিসম্প্রতি আমাদের লোডশেডিং করতে হচ্ছে। কেন করতে হচ্ছে, আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আছে, কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে বিশ্বে একটি যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। ইউরোপে যুদ্ধ হচ্ছে, জ্বালানি তেলের মূল্য অসম্ভব বেড়ে গেছে। ইউরোপের দেশগুলোতে কোথাও কোথাও খাবার-দাবার নাই। এই রকম খারাপ পরিস্থিতি, সামনের দিকে আরও যদি খারাপ হয়, সে জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যায়ী হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু যারা বিদ্যুৎ দিতে পারেনি, সার দিতে পারেনি, খাদ্য দিতে পারেনি, শুধু খুন করতে পেরেছে, আন্দোলনের নামে পুড়িয়ে হত্যা করতে পেরেছে তারা নানা গুজব রটাচ্ছে। এদের প্রতিহত করতে হবে। সবাইকে এদের ব্যপারে সাবধান হতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা আরও বেশি উৎপাদন করতেই পারি, বা পুরো উৎপাদনের যে সক্ষমতা রয়েছে সে পরিমাণ উৎপাদন করতে পারি। কিন্তু তাহলে অনেক বেশি দামে জ্বালানি তেল কিনতে হবে। বেশি দামে জ্বালানি তেল কিনে যদি পুরোটা বিদ্যুৎ উপাদন চালু রাখতে চাই তাহলে আমাদের অর্থনীতিতে তার বিরূপ একটি প্রভাব পড়তে পারে। সামনে যদি খারাপ দিন আসে তাহলে নিজেদের ঘর সংসারে একটু হিসেব করে চলি। এখন যখন যারা বিশ্ব বলছে সামনে একটি খারাপ দিন আসতে পারে। তখন মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে মানুষের জন্য যেনো কষ্ট না হয় সে জন্য এখনই আমাদের একটু সাশ্রয়ী হতে হবে। সেই কারণেই সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সারা দেশে পালাক্রমে লোডশেডিং হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা কি ভুলে গেছি শেখ হাসিনা আসার আগে সারাদিন বিদ্যুৎ থাকতো না, মাঝে মাঝে হঠাৎ আসতো। এখন গ্রামেগঞ্জে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎের চাহিদা বেড়েছে। সেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করার সক্ষমতা রয়েছে আমাদের। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা সাশ্রয়ী হচ্ছি। বিদ্যুৎ নিয়ে যারা গুজব ছড়ায় তাদের কথা শুনবেন না। যারা সমালোচনা করে বিএনপি-জামাত তারা বিদ্যুতের এক মেগাওয়াট উৎপাদন করতে পারেনি। শেখ হাসিনা যা উৎপাদন করে রেখে গেছিল তা কমিয়েছে। বিএনপি দেশকে খাদ্য ঘাটতির দেশ বানিয়েছিল। তার চায় আমরা কাঙালের মতো বিশ্বের কাছে হাত পাতি। আমাদের ভিক্ষুক বানিয়ে রেখে তাদের পকেট ভারি করতে চায়।