রহমত ডেস্ক 18 July, 2022 10:46 PM
সিন্ডিকেট পদ্ধতি বাতিল করে সব বৈধ এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত রাখাসহ ১০ দফা দাবি জানিয়ে সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট-বায়রার একাংশ। এ সময় ফ্রন্টের নেতারা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল ও বিচারের দাবি জানান।
দাবিগুলো হলো— অবিলম্বে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর শ্রমিক রপ্তানি নিয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে, সেই চুক্তি থেকে দেশের ‘সার্বভৌমবিরোধী’ ধারা সংশোধন করতে হবে, বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক রপ্তানিতে এসডব্লিউসিএমএস সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, ২ জুন, ২০২২ জেডডাব্লিউজি মিটিংয়ে গৃহীত এসওপি বাতিল বা সংশোধন করতে হবে, দূতাবাস, বিএমইটি ও মন্ত্রণালয়ে এসডব্লিউসিএমএস-কে অফিস খোলার অনুমতি বাতিল করতে হবে। এছাড়া সিন্ডিকেটের যে সব সদস্য মন্ত্রণালয়ের বিনা অনুমতিতে মালয়েশিয়ার জন্য কর্মী বাঁচাই ও মেডিকেল টেস্ট করেছে, তাদের লাইসেন্স স্থগিত করতে হবে। ২০১৬ সালে যে ১০টি সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রপ্তানি করা হয়েছে, তদন্ত করে তাদের বিচার করতে হবে।
সোমবার (১৮ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বায়রার একাংশ এসব দাবি জানায়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি রিয়াজ-উল ইসলাম, মহাসচিব মোস্তফা মাহমুদ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বায়রার সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুক বলেন, এই সিন্ডিকেটের কারণে যে উদ্দেশ্য নিয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারটি খোলা হচ্ছে, তা চরমভাবে ব্যাহত হবে। ব্যবসা বাণিজ্যে সুষ্ঠু, সুন্দর, প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ টিকিয়ে রাখা এবং আরও উন্নত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে একটি আইন প্রণয়ন করে। যা কমপিটিশন অ্যাক্ট-২০১২ নামে পরিচিত। আমরা আইএলও সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শ্রমিক রপ্তানি এই দুটি আইনের পরিপন্থি। সরকারের নিরাপদ ও টেকসই অভিবাসন নীতির পরিপন্থি।