রহমত ডেস্ক 14 July, 2022 05:42 PM
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়েছেন রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী।
আজ (১৪ জুলাই) বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নগরীর থিম ওমর প্লাজার পাশে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। গত ৭ জুলাই থিম ওমর প্লাজার এমপির ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বেদম মারধরের শিকার হন অধ্যক্ষ সেলিম রেজা। অভিযোগ রয়েছে- সবার সামনে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী তাকে মারধর করেন।
তবে সংবাদ সম্মেলনে এসে এই অভিযোগ অস্বীকার করে ওমর ফারুক চৌধুরী দাবি করেন, সেদিন তারা (অধ্যক্ষরা) বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার এখানে দেখা করার জন্য এসেছিলেন। নিজেদের মধ্যেই টুকটাক কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতিও হয়। আমি উঠে গিয়ে তাদের নিবৃত্ত করেছি। হকিস্টিক দিয়ে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে সেটিও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন এমপি। এ ঘটনায় তার পারিবারিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
ওই সময় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর পাশেই বসা ছিলেন অধ্যক্ষ সেলিম রেজা। তিনিও পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তার কণ্ঠেও একই সুর। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমরা কয়েকজন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ঈদ উপলক্ষে এমপি সাহেবের অফিসে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এ সময় আমাদের অধ্যক্ষ ফোরামের কমিটি গঠন এবং অভ্যন্তরীণ অন্যান্য বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে এমপি মহোদয় আমাদের নিবৃত্ত করেন। এ ছাড়া আর অন্য কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তবে কী ঘটনা নিয়ে এমপির সামনে মারামারি- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি অধ্যক্ষ সেলিম রেজা। ওই সময় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। অধ্যক্ষ সেলিম রেজার পাশে ছিলেন গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুল আউয়াল রাজু। তিনি দাবি করেন- এমপি নয়, তার সঙ্গেই অধ্যক্ষ সেলিম রেজার ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।
আব্দুল আউয়াল রাজু সাংবাদিকদের জানান, তারই ডাকে অধ্যক্ষ সেলিম রেজাসহ কয়েজন অধ্যক্ষ গোদাগাড়ী কলেজ পরিবারের হয়ে এমপির কাছে যান। সেখানে ফোরামের কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা হয়। আয়-ব্যয় নিয়েও কথা হয়। বর্তমান কমিটির কোষাধ্যক্ষ সেলিম রেজার সঙ্গে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তার কথা কাটাকাটি হয়। এনিয়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। ওই সময় এমপি দুজনকেই ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। এতে আসবাবপত্রের সঙ্গে লেগে হয়তো কেউ সামান্য আহত হয়েছেন। পরে তারা দুজনই একে অপরকে আলিঙ্গন করেন, বেরিয়ে এসে কথাও বলেন। তবে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সংগঠনটি ঘটনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক, মানবিক, সব মানুষের জন্য নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ সমাজ ও দেশ গঠনে আইনপ্রণেতাদের দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছে মহিলা পরিষদ।