| |
               

মূল পাতা সারাদেশ এবার ভারতীয় গরু আসেনি বললেই চলে : তথ্যমন্ত্রী


এবার ভারতীয় গরু আসেনি বললেই চলে : তথ্যমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     12 July, 2022     10:27 PM    


অফিসের চার দেয়াল ও নেতাকর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চোখ মেলে বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে একটু তাকানোর জন্য বিএনপি নেতাদের পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মানুষ এবার পবিত্র ঈদ-উল-আযহা পালন করার জন্য স্বস্তির মধ্য দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পেরেছে। ইসলামি ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মানুষ ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করেছে। কোরবানির পশুর ক্ষেত্রেও আমরা যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি সেটি এবার আরো স্পষ্ট হয়েছে। কারণ ভারতীয় গরু এবার আসেনি বললেই চলে।

আজ (১২ জুলাই) মঙ্গলবার বিকালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দেওয়ানজি পুকুরপাড়ে নিজের বাসায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী’র বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি  এ পরামর্শ দেন। এর আগে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের কঠোর অবস্থান ও সিদ্ধান্তের কারণেই সীমান্ত দিয়ে কোন পশু দেশে ঢুকতে পারেনি, যাতে আমাদের দেশের খামারিরা উপকৃত হয়। এক্ষেত্রে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেশ আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর ৯২তম দেশ। কিন্তু আমরা উৎপাদনের দিক দিয়ে পৃথিবীর শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ধান উৎপাদনে আমরা পৃথিবীতে তৃতীয়, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ, আলু উৎপাদনে সপ্তম। আমাদের দেশের গরু-ছাগল দিয়েই এবার ঈদ-উল-আযহার চাহিদা পূরণ করা সম্ভবপর হয়েছে। অনেক গরু-ছাগল বিক্রি না হওয়ায় ফেরতও গেছে। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় বেশি যোগান ছিল। এগুলো সরকারের নানামুখী নীতির কারণেই সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সমগ্র পৃথিবী, এমন কি অর্থনৈতিকভাবে অনেক সামর্থ্যবান দেশও সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। প্রধানমন্ত্রী সেভাবেই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। যারা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পারেনি, বিদ্যুতের দাবিতে কানসাটে মিছিলকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে, হত্যা করেছে, তাদের বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলারই অধিকার থাকে না। আসলে বিএনপির কাছে কোনো ইস্যু নেই তো, তাই কিছু একটা তো বলতে হবে, সেজন্যই কথা বলে। পৃথিবীতে মহামারি চলছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীতে অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে, আপনারা জানেন পদ্মা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রেও নানা প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্র ছিল। সমস্ত প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু যেমন নির্মিত হয়েছে, পৃথিবীর এই সঙ্কটকালীন সময়ের মধ্যেও সমস্ত প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতাকে উপড়ে ফেলে সমৃদ্ধির পথে অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় দেশ পৌঁছাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। পবিত্র ঈদ উপলক্ষে সেই প্রার্থনা আমরা করেছি, আজকেও একই প্রত্যাশা করি।

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য তিনটি প্রকল্পে এগার হাজার কোটির কাছাকাছি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যারা এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে, এই টাকার সদ্ব্যবহার ও সমন্বিতভাবে কাজ করা তাদের দায়িত্ব। যারা জলাবদ্ধতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে আমি তাদের সবসময় তাগাদা দিয়ে আসছি। তিনি নিজেও চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতার মধ্যেই বড় হয়েছেন, মানুষের প্রত্যাশা ছিল, এবার যেহেতু জলাবদ্ধতা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে গতবারের তুলনায় এবার পানি কম উঠবে। যেহেতু জলাবদ্ধতা প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি মাঝপথে আছে, সেজন্য মানুষ এখনো সুফল পাচ্ছে না। বৃষ্টির মৌসুম শেষ হলে কাজ দ্রুত শেষ হবে।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম আনোয়ারা