রহমত ডেস্ক 27 June, 2022 08:43 PM
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমের কারিগরি দিক ও ভোটদান বিষয়ে ২৮ জুন নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠেয় মতবিনিময় সভায় অংশ নেবে না সাইফুল হকের নেতৃত্বাধীন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। মতবিনিময় সভায় অংশ না নিলেও দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রতি ৭ দফা পেশ করা হয়। আজ (২৭ জুন) সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি চালু করার কোনো অবকাশ নেই। ইভিএম সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন বরাবর বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ৭ দফা দাবি জানিয়েছে। বাংলাদেশের ভোটারেরা ইভিএমে ভোট দেওয়া জন্য এখনো প্রস্তুত নয়। ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে ভোটারদের সন্দেহ অবিশ্বাস এখনো প্রবল। ভোটারদের ধারণা ইভিএমে কোনো না কোনো কারসাজি আছে। ইভিএম পদ্ধতিতে সরকারি দল নিজেদের পক্ষে নির্বাচনী ফল নিয়ে আসতে কিছু না কিছু করতে পারে। এ পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণের মনোভাব এখনো খুবই নেতিবাচক। জনগণের এক বড় অংশের ধারণা ইভিএম পদ্ধতি নির্বাচনে ডিজিটাল কারচুপির অত্যাধুনিক যন্ত্র।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন ইভিএম নিয়ন্ত্রণ করবে। ফলে সেখানে সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোটের ফল নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকে বলে দাবি করে সাইফুল হক বলেন, এসব অনাস্থার কারণে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, মালয়েশিয়া, ভেনিজুয়েলাসহ অনেক দেশ ইভিএম পদ্ধতি থেকে সরে এসেছে। ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণের পর কেউ ফল নিয়ে অনাস্থা প্রকাশ করলে পুনরায় ব্যালট গণনার সুযোগ রয়েছে, যা ইভিএম পদ্ধতিতে নেই। সর্বোপরি বিরোধী সব রাজনৈতিক দলসহ অধিকাংশ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যেখানে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতির বিরুদ্ধে, সেখানে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো যুক্তিতেই ইভিএম পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়া এবং ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের কোনো অবকাশ নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম বিতর্কে জড়িয়ে পড়া বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে কেবল প্রশ্নবিদ্ধই করবে। আশা করি, সমুদয় অবস্থা বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন ইভিএম নিয়ে তাদের তৎপরতা থেকে সরে আসবে।