রহমত ডেস্ক 22 June, 2022 09:42 PM
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, হঠাৎ করে অতর্কিতভাবে ভারত থেকে আসা পানিতে সুনামগঞ্জ, সিলেট ডুবে গেছে। বাংলাদেশকে না জানিয়ে গজলডোবা বাঁধ খুলে দিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক অপরাধ করেছে। এখানে আমাদের যে কূটনীতিক সমাধান প্রয়োজন, সেটি আমরা করতে পারিনি। আজকে যতোদিন তিস্তা চুক্তি না হবে ভারত-বাংলাদেশের প্রতিটি বাঁধের তথ্য আমাদের দিতে হবে। অন্যথায় তাদের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ভারতের আয়ের চতুর্থ উৎস হলো বাংলাদেশ। এছাড়াও ভারতকে রক্ষা করেছি আমরা। তা না হলে আজকে নকশালবাদী সরকার থাকতো ভারতে।
আজ (২২ জুন) বুধবার ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি আয়োজিত ‘বন্যা ও জলাবদ্ধতার দায় সরকারের’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী, নদী বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ইনামুল হক, গণ ফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ, এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্তুজা ও মানবাধিকার কর্মী রুবী আমাতুল্লাহ প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পদ্মার পাড়ে ১০ লাখ লোক জমায়েত করে অর্থ অপচয় না করে সিলেট অঞ্চলের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এতে ওই অঞ্চলে মানবিক বিপর্যয় রোধ করা যাবে। সামনে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সব দলকেই শরীক হতে হবে।
এবি পার্টির উদ্দেশে তিনি বলেন, জামায়াতকে অনুরোধ করেন জনসাধারণের সামনে আবারও ক্ষমা চাইতে। জামায়াতের বর্তমান নেতারা তো আর মানবতাবিরোধী অপরাধ করেননি। তাদের পূর্ব-পুরুষরা করেছেন। জামায়াতের গোলাম আজমের সঙ্গে আমার একদিন কথা হয়েছিল। আমি উনাকে বলেছিলাম, ভুল হয়েছে ক্ষমা চান না কেন? তিনি বললেন, ‘ক্ষমা তো একবার চেয়েছি’। আমি বললাম, ‘আমি তো দেখিনি। তখন তিনি বললেন, ‘আবার চাইতে পারি।’ আমার মনে হয়, তিনি বেঁচে থাকলে ক্ষমা চাইতেন। জামায়াত ক্ষমা চাইলে তাদের শক্তি আরও বৃদ্ধি হবে। সামনে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সব দলকেই শরীক হতে হবে। এতে আন্দোলনের শক্তি বাড়বে।