রহমত ডেস্ক 29 May, 2022 05:27 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জিয়াউর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ একজন দেশপ্রেমিক। দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশকে একত্রিত করতে জিয়াউর রহমান সার্ক তৈরি করেছিলেন। সার্কের কার্যকারিতা না থাকায় দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশ্বের বড় দেশগুলো যখন আমাদের নিয়ে খেলবে তখন আমরা বিপদে পড়ে যাবো। এসব থেকে মুক্তি পেতেই জিয়াউর রহমান সার্ক গঠন করেছিলেন। এটাই তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছিলেন।
আজ (২৯ মে) রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে তার উল্লেখযোগ্য বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব উপস্থিত ছিলেন।
গয়েশ্বর বলেন, জিয়াউর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ একজন দেশপ্রেমিক। তিনি একজন দূরদর্শিতাসম্পন্ন রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ সংগঠক। রাষ্ট্র পরিচালনার সাংগঠনিক দক্ষতা তিনি অল্প সময়ের মধ্যে আয়ত্ত করতে পেরেছিলেন। পূর্বপরিকল্পনা ছাড়াই স্বল্প সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে সবাইকে মাঠে নামাতে পেরেছিলেন। এবং একইসঙ্গে সম্মুখভাগে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তিনি ইচ্ছা করে আসেননি। সিপাহী জনতা তাকে উদ্বুদ্ধ করে রাষ্ট্রক্ষমতায় এনেছিল। একদলীয় বাকশাল থেকে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করায় জিয়াউর রহমানকে সাধারণ মানুষ উপরে স্থান দিয়েছে। তাকে শ্রেষ্ঠ করতে কাউকে ছোট বা বড় করতে হয় না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার কর্মকাণ্ডের তুলনা তিনি নিজেই। আমরা যেন ভুল করে তার সঙ্গে অন্য কারও তুলনা করতে না যাই। জিয়াউর রহমান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
তিনি আরো বলেন, ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশ ছোট রাষ্ট্র হওয়ায় এখানকার লাখ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান করা কঠিন ছিল। তাই জিয়াউর রহমান বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করে বিদেশে শ্রমবাজার দখল করেছিলেন। এরই সুফল হিসেবে আমরা এখন বিশাল অঙ্কের রেমিটেন্স পাচ্ছি। রেমিটেন্স দিয়েই বাংলাদেশ টিকে আছে। এটাই হলো জিয়াউর রহমানের দূরদর্শিতা। রেমিটেন্স না এলে দেশ তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হতো। তিনি খাল খনন কর্মসূচি দিয়ে সারাদেশে কৃষিক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য এনেছিলেন। ছাত্রদের তিনি শুধু রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তাদের দিয়ে উৎপাদনমুখী রাজনীতি করাতে চেয়েছেন। যুবকদের বসিয়ে রাখেননি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে লাইসেন্স দিয়ে কাজে লাগিয়েছেন। জিয়াউর রহমানের স্লোগান ছিলো- বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে কোনো প্রভু নাই। তিনিই প্রথম ব্যক্তি সাতটি দেশের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসে আমেরিকা, রাশিয়া, চীনে কূটনৈতিক মিশন চালু করেন। তার মধ্যে কোনো স্বজনপ্রীতি ছিলো না।