রহমত ডেস্ক 15 May, 2022 07:54 PM
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করতেছে যেন মসলা পণ্যের দাম গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। এখন দেশে পর্যাপ্ত পিয়াজ রয়েছে। বেশি পিয়াজ আমদানি করলে দেশে কৃষকরা উৎপাদন ছেড়ে দেবে। সেটাই হচ্ছে এখন। আশা করছি, পিয়াজের দাম আর বাড়বে না। ভোজ্যতেলের দাম সারাবিশ্বে বাড়ছে, কেবল বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বে বাড়তির দিকে। ভারতে প্রতি লিটার ২১০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসেবে আমরা ভালো আছি। আরো ভালো থাকার চেষ্টা করছি।
আজ (১৫ মে) রবিবার দুপুরে সিলেট সদর খাদ্যগুদাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী রবিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বিমানযোগে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন। সেখান থেকে সিলেট সদর ও খাদিমপাড়া খাদ্যগুদাম পরিদর্শনে যান। বিকেলে তিনি সুনামগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন এবং সেখানে সোমবার পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। একবছর ধরে চাল আমদানি করতে হয় না। উৎপাদিত ধান-চাল দিয়ে দেশের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। দেশে খাদ্য ঘাটতির সুযোগ নেই। সুনামগঞ্জে সম্প্রতি পাহাড়ি ঢলে বোরো ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হলেও খাদ্যে প্রভাব পড়বে না। আউশ-আমনের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বোরো আবাদ ও ফলন ভালো হয়েছে। সময়মতো বৃষ্টির কারণে আগামী আউশ ফসলও ভালো হবে। সবমিলিয়ে ধান-চালের শক্তিশালী মজুদ গড়ে উঠবে। গম আমাদের দেশে উৎপাদন হয় না, বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। গম আমদানি করা হতো ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে। দুই দেশের যুদ্ধের পর আমরা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করেছি। পরবর্তীতে যা দরকার পড়বে তাও ভারত থেকে আমদানি করা হতে পারে। ভারতের গম রপ্তানি বন্ধের বিষয়ে আগাম মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
তিনি আরো বলেন, ভারত বেসরকারিভাবে রপ্তানি বন্ধ করলেও সরকারিভাবে গম রপ্তানি বন্ধ করেনি। হয়তো এক মাস বা ১৫ দিন পর তারাও রপ্তানি করবে। আমাদের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তাদের উৎপাদিত গম তাদেরকে তো বিক্রি করতেই হবে। এবার ধানের দাম বাড়ানো হবে না, ধানের দাম বাড়লে চালের দামও বাড়বে। এতে দেশের মানুষই কষ্ট পাবে। কৃষকদে ধানের বীজ-সার ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। যন্ত্রপাতি কিনে দেওয়া হচ্ছে। সরকার সবসময় কৃষকের পাশে রয়েছে। সিলেটে আধুনিক রাইস সাইলো স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। জায়গা পাওয়া গেলেই কাজ শুরু হবে। প্রতিটি সাইলো-তে ২৫ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন চাল রাখা যাবে। কৃষকের কাছ থেকে ঘোষণা দিয়ে দাম নির্ধারণ করে ধান কেনা হয়। কৃষকরা বাজারে অন্যের কাছে ধান বিক্রি করে যেন না ঠকে তাই এমনটি করা হয়।