| |
               

মূল পাতা সারাদেশ হালকা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে পানিবন্দি নগরের কয়েক লাখ বাসিন্দা


হালকা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে পানিবন্দি নগরের কয়েক লাখ বাসিন্দা


রহমত ডেস্ক     05 May, 2022     06:47 PM    


বৈশাখের হালকা বৃষ্টিতেই চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্থানে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। আজ (৫ মে) বৃহস্পতিবার ভোর রাতে শুরু হওয়া কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে এমন জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। অনেক স্থানে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বাসা ও গলিতে পানি জমে ছিল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নগরের কয়েক লাখ বাসিন্দা। ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে ঘর থেকে বের হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। এদিকে জলাবদ্ধতা দুর্ভোগ থেকে মুক্তির দাবিতে শনিবার প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন নগরের চান্দগাঁও এলাকার বাসিন্দারা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার রাত ১২টা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২১ মিলিমিটার। হালকা বৃষ্টিতে নগরের ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, চান্দগাঁও, পূর্ব ষোলশহর, চকবাজার, কাপাসগোলা, বায়েজিদ, বাকলিয়া ও ডিসি রোড এলাকার রাস্তা ও গলিগুলোতে পানি জমে যায়। প্রথম কর্মদিবসে পানি ডিঙিয়ে অনেকে কর্মস্থলে গিয়েছেন। সড়কে যানবাহন না থাকায় হেঁটে পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হয়েছেন অনেকে। শুক্রবার পর্যন্ত সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। এর পর কয়েকদিন আর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, চকবাজারের মোহাম্মদ আলী শাহ দরগা লেইন, ফুলতলা, জেলেপাড়া, বিএড কলেজ গেট, ডিসি রোডে কোথাও পায়ের গোড়ালি, কোথাও আবার হাঁটুপানি। এ ছাড়া চান্দগাঁও ওয়ার্ডের পাঠানিয়া গোদা থেকে চৌধুরী স্কুল পর্যন্ত গোলাম আলী নাজির বাড়ি সড়কটি পুরোটা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের জীবন মিস্ত্রি বাড়ি, ডাইলের বাপের বাড়ি, অর আলীর বাড়ি, পেটারিপাড়া, হাবিলদার বাড়ি ও মাইজপাড়াসহ আশপাশের পুরো এলাকায় পানি জমে দুর্ভোগে পড়েছেন অর্ধ লাখ বাসিন্দা। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিচতলার বাসিন্দারা। অনেকের বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়েছে জমে থাকা পানি। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১০ হাজার কোটি টাকার চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ, সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরমধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। প্রকল্পটির কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, খালগুলোতে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের আওতায় প্রতিরোধ দেওয়াল নির্মাণের কাজ চলছে। এ জন্য বাঁধ দেওয়া হয়েছে। যার কারণে নালা পরিষ্কার থাকলেও খাল দিয়ে পানি নামতে পারছে না। হালকা বৃষ্টিতেই নগরের কয়েকটি এলাকায় পানি জমে যায়। বর্ষা পর্যন্ত তাদের কাজ চলবে। খাল থেকে বাঁধগুলো না সরালে জলাবদ্ধতা হবেই। এ মুহূর্তে আমরা অসহায়।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম আনোয়ারা