| |
               

মূল পাতা রাজনীতি সরকার বিরোধীদের দ্রুত সাজা দিতে সেল গঠন করেছে : ফখরুল


সরকার বিরোধীদের দ্রুত সাজা দিতে সেল গঠন করেছে : ফখরুল


রহমত ডেস্ক     08 April, 2022     09:42 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতাদের অতি দ্রুত সাজা দিতে সরকার সেল গঠন করেছে। আমরা শুনেছি যে, তালিকা তৈরি করেছে সরকার। সেই তালিকা ধরে বিভিন্ন জেলায় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে এই মামলাগুলো দ্রুত শেষ করার জন্য একটা সেল তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এই সেল দিয়ে অতি দ্রুত মামলাগুলো শেষ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই ২০১৩ সালের মুগদা থানায় একটা ‘মিথ্যা গায়েবি’ মামলা হয়। এখন একজন মানুষকে একই ঘটনায় দুইটা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। মুগদা থানার বিস্ফোরক মামলায় ৩৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেখানে ৩২ জন খালাস পেয়েছেন আর ৭ জনকে দুই বছর তিন মাস/দুই বছর এক মাস.. এভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। এটা কিন্তু এখন সারা দেশেই চলছে।

আজ (৮ এপ্রিল) শুক্রবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, মোশাররফ হোসেন খোকন, আবদুস সাত্তার, এসকে সেকান্দার, হারুনুর রশীদ, মুনির হোসেন চেয়ারম্যান, আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান ফয়েজ প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তার প্রমাণ হচ্ছে এই মুগদা থানার মামলাটা। যেখানে কোনো কিছু নেই, নাথিং। আমার বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো আছে, সেই মামলাগুলোতে কী আছে? একটা হচ্ছে আমি ময়লার গাড়ি পোড়াচ্ছি, সেটা সিটি করপোরেশনের গাড়ি। আরেকটা আমার বিরুদ্ধে আছে সেক্রেটারিয়েটের (সচিবালয়) ভেতরে মোটর সাইকেলের পেছনে গিয়ে বোমা মেরেছি। এই ছল-চাতুরি প্রতারণা করে গোটা জাতিকে একটা ভয়াবহ অন্ধকার গহ্বরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন নাটক করেই যাচ্ছেন। সিভিল সোসাইটিকে ডাকছে, সাংবাদিকদের ডাকছে। তাদেরকে ডেকে খুব সুন্দর কথা বলছেন। নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুন্দর বাংলা বলেন। আগের ভদ্রলোক তো ছিলেন যে কথাই ভিন্নভাবে বলতেন। এখনকার জন চমৎকার কথা বলেন এবং মানুষকে বিমোহিত করার চেষ্টাও তিনি করেন। এই জিনিসগুলো সবচাইতে ভয়াবহ। এই নাটকগুলো করে তারা আবার আরেক নির্বাচন করার পায়তারা করছেন। যে নির্বাচন তারা আগের মতোই জোর করে এবং বিভিন্ন কৌশলে করবেন। এবার হয়ত আগের মতো নির্বাচন হবে না। গতবার তো আগের রাতে নির্বাচন হয়ে গেছে। এখন হতো বা ৭ দিন আগেই নির্বাচন হয়ে যাবে। ইট ইজ গোয়িং টু হেপেন।

তিনি আরো বলেন, আপনারা সাংবাদিকরাও কম ভুক্তভোগী নন। ইতিমধ্যে আপনাদের অনেকেই নিহত হয়েছেন, মারা গেছেন। অনেককে জেলে যেতে হয়েছে সত্য কথা লেখার জন্যে। এখানে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করা হয়েছে। এখন গণমাধ্যম কর্মী আইন করতে যাচ্ছে। আমাদের তথ্যমন্ত্রী বলছেন না কি এটা রিভিউ করা হবে। রিভিউ করে কী করবেন সেটা তো আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ক্ষেত্রে দেখেছি। যার ফলে এটা কোনও মতেই গণতন্ত্রের নিরাপদ দেশ নয়, এটা মানুষের বিকাশের জন্য নিরাপদ দেশ নয়, এই দেশ এখন সম্পূর্ণভাবে একনায়কতন্ত্র, কর্তৃত্ববাদী, এককথায় বলতে গেলে একটা ফ্যাসিবাদী সরকারের হাতে পড়েছে। এই সরকারকে সরাতে না পারলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না।