রহমত ডেস্ক 08 April, 2022 04:40 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত রয়েছে। আওয়ামী লীগ যে কোনো উপায়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত। দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে কাউকে আনা না আনা সরকারের দায়িত্ব না। আইন অনুযায়ী, নির্বাচন পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত। তবে আমরা প্রত্যাশা করি, গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনীতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে জনকল্যাণের রাজনীতিতে নিজেদের নিয়োজিত করবে। আজ (৮ এপ্রিল) শুক্রবার গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে- জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আর এদেশের মানুষের হৃদয়ের আবেগ ও অবিভাজিত বোধের এক অপরাজেয় শক্তির নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কারো কাছে ধরনা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। আওয়ামী লীগ জানে, রাজনীতি করতে হলে জনগণের ভালবাসা ও সমর্থন প্রয়োজন। কিন্তু ক্ষমতালিপ্সু বিএনপি বরাবরই হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মানুষের কল্যাণের জন্য কিছু করেনি। বিএনপির এই অপরাজনীতির কারণে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গণতন্ত্র সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের ফল। কিন্তু গণতন্ত্রকে নসাৎ করে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপরাজনীতি শুরু করে। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যের বিপরীতে বিভেদের অপরাজনীতির প্রচলন করে।
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের কল্যাণ কিংবা দেশের স্বার্থ রক্ষায় আপোষহীন মনোভাব পোষণ করায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির রাজনীতিতে বিদেশ নির্ভরতা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তাদের নেতা দেশ থেকে টাকা পাচার করে বিদেশে পালিয়ে থেকে আয়েশী জীবন যাপন করছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই- বিদেশে আওয়ামী লীগ বা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কোন প্রভু নেই। ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’- বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত এই পথেই আওয়ামী লীগ সরকার পররাষ্ট্র নীতি পরিচালনা করে। যেখানে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থই মূল বিবেচ্য বিষয়। দেশের মানুষের কল্যাণ কিংবা দেশের স্বার্থ রক্ষায় আপোষহীন মনোভাব পোষণ করায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির রাজনীতিতে বিদেশ নির্ভরতা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তাদের নেতা দেশ থেকে টাকা পাচার করে বিদেশে পালিয়ে থেকে আয়েশী জীবন যাপন করছে। কোনো কোনো দেশের সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথেই ঢাকায় তাদের দূতাবাস খোলার আগেই বিএনপি নেতৃবৃন্দ ফুল ও মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়। বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা লুটার অপচেষ্টাও করেছে বিএনপি। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজশে যে কোনো উপায়ে তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়।