বিএনপির বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে পরিপূর্ণ: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাদের প্রতিদিনের বক্তব্য-বিবৃতি রাজনীতির সব ধরনের শিষ্টাচার ও শালীনতা লঙ্ঘন করে চলছে। তাদের বক্তব্য ও বিবৃতি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে পরিপূর্ণ।

শুক্রবার (০১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের বেপরোয়া ও দায়িত্বহীন বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে সঙ্কট সৃষ্টির ষড়যন্ত্র। তারা নির্বাচনকালীন সরকার, নিরপেক্ষ সরকার, জাতীয় সরকারের কথা বলে রাজনীতির মাঠ গরমের ষড়যন্ত্র করছে, যা কখনই সফল হবে না। যেনতেন প্রকারে বিএনপি আজ ক্ষমতা দখলে এতই উন্মত্ত যে তাদের বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। বিএনপি নেতাদের এ ধরনের বেপরোয়া ও দায়িত্বহীন বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে সঙ্কট সৃষ্টির ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।

বিবৃতিতে আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে ভোট ডাকাতি ও গণতন্ত্র হত্যার জনক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। তিনি ১৯৭৭ সালে কথিত হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে একটি প্রহসনে পরিণত করেছিলেন। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার বিএনপি ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে চিরদিনের মতো কুক্ষিগত করে রাখতে চেয়েছিল। রাজনীতির মাঠ থেকে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য হাওয়া ভবনের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতা দখল করলেও প্রতিবারই জনরোষের কারণে তাদের বিদায় নিতে হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক উপায়ে দেশের শাসনভার গ্রহণ করেছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি আজ সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ ও দেউলিয়া। তাদের শীর্ষ নেতারা দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত, আদালতের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত, পলাতক ও দেশান্তরী। শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতির দায় রাজনৈতিকভাবে বয়ে বেড়াচ্ছে বিএনপি। তাদের নেতাকর্মীরা আজ হতাশ। একেক নেতা একেক সময় ভিন্ন ভিন্ন সুরে কথা বলছেন। কখনও নির্বাচনকালীন সরকার, কখনও নিরপেক্ষ সরকার, কখনও জাতীয় সরকারের কথা বলে রাজনীতির মাঠ গরম করার ষড়যন্ত্র করছেন। যা কখনই সফল হবে না। সংবিধান সম্মতভাবে যথাসময়েই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।