‘মানুষের মতো মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে হবে’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, প্রিয় মাতৃভূমিকে অন্য কেউ এসে সাজিয়ে দেবে না, এ অগোছালো সমাজে যতদিন বাস করবো, ততদিন নিজেরাই অগোছালো থাকবো। তোমাদের হাত দিয়ে বাংলাদেশটিকে সোনায় মুড়িয়ে, সবুজে শ্যামলে ভরিয়ে দিতে হবে। তারপর নিজেদের মতো করে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে হবে। এজন্য বিজ্ঞান, পরিকল্পনা ও সততা দরকার। দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা দরকার। তোমাদের মধ্যে যেন দুর্নীতি-অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ছবি ভেসে ওঠে। তোমাদের ছবিতে যেন মা, মাতৃভূমি সবুজ-শ্যামল বাংলা ভেসে ওঠে এ প্রত্যাশা রইলো।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও নবীনবরণ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। সিদ্ধেশ্বরী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ জুলহাস উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন, বিশেষ অতিথি ছিলেন সিদ্ধেশ্বরী কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাবেক সচিব ভুঁইয়া সফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য মশিউর রহমান বলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানের চেতনায় বিকশিত হওয়ার জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা লাইব্রেরিতে ও নিজের পড়ার টেবিলে বই পড়ায় সময় ব্যয় করতে হবে। যদি সেটি না করা হয় তবে দুটি মানুষকে রক্তাক্ত করা হবে। একটি নিজেকে, আরেকটি দেশকে।গত ৫০ বছরে কী হয়েছে, না হয়েছে সেই হিসাব করে লাভ নেই। যদি পৃথিবীতে টিকে থাকতে হয় ও এ সমাজে মানুষের মতো বাঁচতে হয় তাহলে আগামী ৫০ বছরে তোমাদের হাত দিয়ে গোটা সমাজ কাঠামোকে বদলে ফেলতে হবে। এক্ষেত্রে অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই। এরমধ্যে নিরলস ডুবে থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে ছিলেন, তখন তার মনে সন্তানের চিন্তায় থাকার কথা। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেদিন সেই শিশুপুত্রের যে অবয়ব তার বদলে তিনি অন্য একটি মানচিত্র এঁকেছেন। তার বদলে কারাগারে নির্যাতন সয়ে বাংলার মুক্তিগাঁথা এঁকেছেন। আমাদের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় মুক্তির পথ রচনা করেছেন।