রহমত ডেস্ক 20 March, 2022 07:22 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিনিয়ত বিএনপি নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। প্রতিদিন তাদের ডজনখানেক নেতা টেলিভিশনে মনগড়া ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে অবাধ বাক-স্বাধীনতা ভোগ করছে। তারপরও তাদের নাকি বাক-স্বাধীনতা নেই! গণমাধ্যমের নাকি স্বাধীনতা নেই! দলটির কাছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মানে হলো ভিত্তিহীন ও দুরভিসন্ধিমূলক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের সহায়ক ভূমিকা পালন। গণমাধ্যমই বিএনপির অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। এ দেশের সাংবিধানিক রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের মানচিত্রে দগদগে ক্ষত সৃষ্টিকারী দানবীয় অপশক্তির নাম বিএনপি। আজ (২০ মার্চ) রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে নয় বরং স্বাধীনতায় বিশ্বাসী জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশের গণমাধ্যমের বিকাশ ও সমৃদ্ধিতে ইতিবাচক সব প্রয়াস আওয়ামী লীগই নিয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আছে বলেই জনবিচ্ছিন্ন বিএনপির রাজনীতি শুধুমাত্র মিডিয়াতে লিপ সার্ভিস দেওয়ার মাধ্যমে টিকে আছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র একমাত্র আওয়ামী লীগের হাতেই নিরাপদ, গণতন্ত্রের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র আর গণতন্ত্রের আড়ালে মুখোশধারী স্বৈরাচারদের হাত থেকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে পুনরুদ্ধার করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ এবং গণতন্ত্র নাকি একসঙ্গে যায় না। তাকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটেছে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ দেশের মানুষের স্বাধিকার, স্বাধীনতা, মুক্তি, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমাদের লাখ লাখ নেতা কর্মী প্রাণ দিয়েছে। দেশের যেকোনো রাজনৈতিক দলের চেয়ে আওয়ামী লীগ অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চায় এগিয়ে রয়েছে। নির্বাচন বিমুখ একটি দল কীভাবে গণতন্ত্রের কথা বলে? গণতান্ত্রিক চর্চায় সর্বদাই বিএনপির এক ধরনের অনীহা রয়েছে। এমনকি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েও মহান জাতীয় সংসদে যাওয়া নিয়ে দলটি দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। একদিকে তাদের মহাসচিব নির্বাচিত হয়েও সংসদে অংশগ্রহণ করেনি, অন্যদিকে সংসদে তাদের দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এ ধরনের দ্বিধাগ্রস্ত এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অক্ষম রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশের কল্যাণ করার সক্ষমতা রাখে না; এটা প্রমাণিত।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সুদক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় এ দেশের মানুষের ভাগ্যের যত উন্নয়ন ঘটছে, বাংলাদেশ যত উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রসর হচ্ছে, বিএনপি নেতারা ততই হতাশাগ্রস্ত হয়ে প্রতিনিয়ত প্রলাপ বকছেন। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশে উন্নয়নের নতুন নতুন মাত্রা আমাদের আর্থসামাজিক জীবনের যে পরিবর্তন সাধন করেছে এবং তার ভিত্তিতে নতুন প্রজন্মের যে মানসিকতা ও স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে তা ধারণ করার মতো রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সক্ষমতা বিএনপির নেই। বিএনপির জন্ম এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসনের পটভূমিতে, দলটির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার খুনিদের সুরক্ষা দেয়। পরিকল্পিতভাবে এ দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের অপরাজনীতির জন্ম দেয় দলটি। এ দেশের সাংবিধানিক রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের মানচিত্রে দগদগে ক্ষত সৃষ্টিকারী দানবীয় অপশক্তির নাম বিএনপি।