রহমত ডেস্ক 19 March, 2022 04:03 PM
আগামী পাঁচদিনের মধ্যে ইট, পাথর, রড়, সিমেন্ট, বিটুমিনসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর দাম কমানো না হলে ২৪ মার্চ থেকে চলমান উন্নয়নমূলক সকল কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রংপুর ঠিকাদার সমিতি। দাম না কমলে বিনিয়োগ করা মূলধন ফেরতসহ শতকরা ১০ ভাগ লভ্যাংশ ও বর্তমান বাজার অনুযায়ী দরপত্রে প্রাক্কলিত মূল্যের সঙ্গে সমতা ফেরাতে অতিরিক্ত অর্থ সংযোজনের দাবি জানানো হয়।
আজ (১৯ মার্চ) শনিবার দুপুরে রংপুর নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে দাবি তুলে ধরে উন্নয়ন সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ দাবি করেন সমিতির সদস্য সচিব রইচ আহমেদ। এ সময় দাবি আদায়ে ২১ মার্চ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং ২৩ মার্চ সিটি করপোরেশন, গণপূর্ত এবং এলজিইডিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মিঠু, খায়রুল কবীর রানা, মনজুর আহমেদ আজাদ প্রমুখ। এর আগে গত ১৩ মার্চ নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রংপুর নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সংগঠনটি।
লিখিত বক্তব্যে রংপুর ঠিকাদার সমিতির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম দুলাল বলেন, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দরে ঠিকাদাররা দরপত্র জমা দিয়ে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিটি নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূলবৃদ্ধি দরপত্রের চুক্তিমূল্য থেকে শতকরা ৪০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যে ঠিকাদারের যত টাকার কাজ, তিনি অনুপাতিক হারে ততটাকার পুঁজি হারাতে বসেছেন। মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে ইট, রড়, সিমেন্ট, পাথর, বিটুবিন, বালু, এমএস সীট, জিআই সীট, টাইলস, থাই, গ্লাস, রং, ফ্লাটবার ও অ্যাঙ্গেলসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর মূল্য প্রকারভেদে ২০ হতে ৮০% দাম বেড়েছে। এত স্বল্প সময়ের মধ্যে এ রকম অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ইতোপূর্বে কখনো হয়নি। এ পরিস্থিতিতে চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন ঠিকাদাররা। দাম কমানো না হলে ঠিকাদাররা কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হবেন। এতে দেশের চলমান উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।
ঠিকাদারদের মানবিক দিক বিবেচনা করে অনতিবিলম্বে যাবতীয় নির্মাণসামগ্রীর দাম কমানোর দাবি জানিয়ে সমিতির আহ্বায়ক বলেন, দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার মূল কারিগর ঠিকাদাররা। উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঠিকাদার পেশাজীবীর সংখ্যা ১০ লাখের মতো। এই শিল্পের সাথে নির্মাণশ্রমিক, পেশাজীবীসহ আরও ১ কোটি মানুষের রুটি-রুজি জড়িত রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচর ও শক্ত হস্তক্ষেপ ছাড়া কোনো উপায় দেখছেন না ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদাররা।