| |
               

মূল পাতা মুসলিম বিশ্ব শত প্রতিকূলতায়ও বাবা অজু অবস্থায় থাকতেন: জুনায়েদ জামশেদের ছেলে


জুনায়েদ জামশেদ ও ছেলে বাবর জুনায়েদ

শত প্রতিকূলতায়ও বাবা অজু অবস্থায় থাকতেন: জুনায়েদ জামশেদের ছেলে


বেলায়েত হুসাইন     15 March, 2022     09:51 PM    


শত প্রতিকূলতায়ও কখনো অজু ছাড়া থাকতেন না পাকিস্তানের কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী ও প্রখ্যাত ইসলাম প্রচারক জুনায়েদ জামশেদ। এমনটিই জানালেন তার ছেলে বাবর জুনায়েদ।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানায়, গত বৃহস্পতিবার ইউটিউবে এক ভিডিওতে বাবর জুনায়েদ এ তথ্য জানান। ওই ভিডিওতে তার বাবা সম্পর্কে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য দেন বাবর।

বাবর জুনায়েদ বলেন, ‘শৈশব থেকেই বাবার অন্তে সমস্যা ছিল। তাতে ইনফেকশন হওয়ায় খুব বেশি সময় অজু রাখতে পারতেন না। হজম শক্তিও দুর্বল ছিল। এরপরও তিনি কখনো অজু ছাড়া থাকতেন না। তার সাথে আমার যতো স্মৃতি আছে তার বেশিরভাগ এমন সময়ের যখন তিনি অজু অব্স্থায় ছিলেন।’

বাবার সাথে একটি সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘বাবার সাথে একবার সফরের সুযোগ পেলাম। আমি এবং আমার ভাই সাইফ তার সাথে ব্রিটেন যাচ্ছিলাম। ওয়েলসে বাবার একটি চ্যারিটি ইভেন্টে যোগ দেয়ার কথা। বিমানে যাচ্ছিলাম আমরা। হঠাৎ বাবাকে দেখি অজু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিমানের বাথরুম সংকীর্ণ ছিল। বাবা দীর্ঘদেহী হওয়ার কারণে বেশ সমস্যা হচ্ছিল। তারপরও তিনি ভেতরে প্রবেশ করে বেশ কষ্টে অজু করে আসলেন। যখন সেখান থেকে সিটে ফিরছিলেন সবাই তাকে মাথা ঘুরিয়ে দেখছিল। কারণ, তাকে বিমানের অনেকেই তখন চিনে ফেলে।’

বাবর জুনায়েদ বলেন, ‘বাবা যখন সিটে বসলেন, আমি বললাম, কেন এত কষ্ট করে অজু করলেন, একটু পরেই তো এয়ারপোর্ট, সেখানে অজু করলেই পারতেন?’

বাবরের এই প্রশ্নে জুনায়েদ জামশেদ তাকে রাসূল সা:-এর হাদিস শুনিয়ে দিলেন। বললেন, ‘একবার রাসূল সা:-এর কাছে এক সাহাবি এসে জিজ্ঞেস করলেন- হে আল্লাহর রাসূল! আমার রিজিকে একটু সংকীর্ণতা চলছে। এর কিছু সমাধান বলে দিন। তখন আল্লাহর রাসূল সা: বললেন, সবসময় অজু অবস্থায় থাকো, তাহলে আল্লাহ তায়ালা রিজিকের দ্বার খুলে দেবেন।’

বাবর জুনায়েদ জানান, তার বাবা শুধু এতটুকু করেই দায়িত্ব শেষ করতেন না; বলতেন, ‘বেটা, এটা বিশ্বাস করো যে, অজু অবস্থায় থাকলে আল্লাহ রিজিকের দরজা উন্মুক্ত করে দেন।’

উল্লেখ্য, জুনায়েদ জামশেদ ২০১৬ সালের ৭ই ডিসেম্বর চিত্রাল থেকে ইসলামাবাদে যাওয়ার সময় পিআইএ ফ্লাইট-৬৬১ দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি চিত্রালে তাবলিগ জামাতের একটি মিশনে ছিলেন ও বিমানে করে ইসলামাবাদে ফিরছিলেন। তার মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে ছিল। ২০১৮ সালে জুনায়েদ জামশেদকে মরণোত্তর পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজে’র জন্য মনোনীত করা হয়।

সূত্র : জিও নিউজ