রহমত ডেস্ক 10 March, 2022 04:28 PM
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে প্রতিদিন কিডনি ফেইলিওর হয়ে ৭০-৮০ জন মানুষ মারা যাচ্ছেন। কিডনি ফেইলিওরের অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ। এছাড়া আরও অনেক কারণে হয়। প্রতিবছর ফেইলিউরের ঘটনা ৩০-৪০ হাজার। মারা যাচ্ছে ২৫-৩০ হাজার মানুষ। এমন অবস্থায় এ রোগ নিয়ন্ত্রণে আনুষঙ্গিক রোগগুলোও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আজ (১০ মার্চ) বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। কিডনি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ আরও অনেকে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারী মরণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণে প্রতিরোধে দেশের মানুষকে করোনা প্রতিষেধক টিকা দিতে সরকারের ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। টিকা কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে পেরেছি। আমরা শুরুতেই পর্যাপ্ত টিকা ক্রয় করেছি। উপহার হিসেবেও অনেক টিকা পেয়েছি। টিকা ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থায় আমাদের খরচ ৪০ হাজার কোটি টাকা। করোনায় বাংলাদেশ রোল মডেল হিসেবে সারাবিশ্বে অবস্থান করে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর গাইডলাইনে আমরা কাজ করেছি। করোনায় এখনও মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। দেশে এক সময় সংক্রামক ব্যাধি মহামারি আকার ধারণ করেছিল। এখন আর সেই অবস্থা নেই। কলেরাসহ সংক্রামক ব্যাধি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে এ সময়টাতে অসংক্রামক ব্যাধি অনেক বেড়ে গেছে। প্রায় ৭৭ শতাংশ মানুষ এতে মারা যায়।
তিনি আরো বলেন, দেশে শিগগিরই করোনার বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হবে। বুস্টার ডোজের সময় হয়েছে, কিন্তু বুস্টার ডোজ নেননি এমন সবাইকে এর আওতায় আনা হবে। দেশে শিগগিরই করোনা প্রতিরোধে বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন শুরু হবে। যারা বুস্টার ডোজ নেননি, তারা যেন অতি দ্রুত নিয়ে নেন, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য। আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ২২ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি। টিকায় আমরা সফল হয়েছি। বিশ্বের ২০০ দেশের মধ্যে আমরা টিকাদানে আট নম্বরে এসেছি। এসবের সব কৃতিত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার গাইডলাইনে আমরা কাজ করেছি। আমরা পূর্বেও টিকা ক্যাম্পেইন করেছি। সর্বশেষ ক্যাম্পেইনে একদিনেই এক কোটিরও বেশি মানুষকে আমরা টিকা দিয়েছি। এখনো প্রথম ডোজসহ টিকা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রশাসনের কর্মীরাও আমাদের সহযোগিতা করছে। সফল টিকা কার্যক্রমের কারণে দেশে সংক্রমণের হার দুই শতাংশে নেমে এসেছে।