রহমত ডেস্ক 09 March, 2022 09:42 PM
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, ইসলাম ধর্মই প্রথম নারীর অধিকার স্বীকার করেছিল। তাই বৈষম্য দূরীকরণে ইসলাম ধর্ম বা অন্য কোন ধর্ম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না। কেবল আইন প্রয়োগের মাধ্যমে নারী-পুরুষের বৈষম্য নিরসন করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি বা মানসিকতা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
আজ (৯ মার্চ) বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তজার্তিক নারী দিবস-২০২২ উপলক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, কমিশনের সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ ও জেসমিন আরা বেগম প্রমুখ। এতে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক ন্যাশনাল ইনকোয়ারী খসড়া প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, যত কথাই বলা হোক না কেন, যত আইনই করা হোক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তবে এই বৈষম্য রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জেন্ডার বা লিঙ্গ ভিত্তিক অসমতাকে সমতায় আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ফলে আস্তে আস্তে বৈষম্য দূর হচ্ছে এবং এখন সম্পদের সমান বন্টনের দাবি উঠছে।
তিনি আওরা বলেন, বৈষম্য নিরসনে নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য সচেতনতা প্রয়োজন। এ সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গ্রামে যেতে হবে। কারণ গ্রামে প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ বসবাস করে এবং সেখানেই বৈষম্য বেশি হয়, প্রকট নারী নির্যাতন হয়। বাংলাদেশে প্রচলিত আইনগুলো প্রয়োগের পাশাপাশি গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে পারলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।