| |
               

মূল পাতা সারাদেশ অগ্নিদগ্ধ নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেপ্তার


অগ্নিদগ্ধ নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেপ্তার


রহমত ডেস্ক     20 February, 2022     10:15 AM    


কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ষোলদাগ এলাকার মতিন হাইস্কুলের নিকটে একটি কলার ক্ষেত থেকে অগ্নিদগ্ধ নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পুলিশ। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ওই নারীর নাম সজনী খাতুন (২৮)। সে পাশের মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া রানাখড়িয়া এলাকার সিরাজুল হকের মেয়ে এবং ষোলদাগ এলাকার লালন মিয়া (৪৫)'র স্ত্রী। লালন ১৬ দাগ এলাকার সলিম উদ্দিনের ছেলে। 

গতকাল শনিবার (১৯শে ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধারের পর সজনীর মা সালেহা, বাবা সিরাজুল এবং চাচি আইরিন পরিচয় সনাক্ত করেন।

অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত সজনীর মা বলেন, প্রায় ১৩ বছর আগে লালনের সঙ্গে সজনীর বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। কিছুদিন যাবত স্বামী লালন স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সজনী পালিয়ে বাবার বাড়ি যান।

১৬ ফেব্রুয়ারি লালন নিজে গিয়ে একপ্রকার জোর করেই স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে মোবাইল ফোনে সে সজনীর মাকে জানায় সজনীকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার একদিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি সজনীর অগ্নিদগ্ধ বিকৃত মরদেহ পাওয়া গেছে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভেড়ামারা-দৌলতপুর সার্কেল ইয়াসির আরাফাত এবং ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তিনি বলেন, নিখোঁজ সজনীর স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করার পর স্বামী লালন লাশটি সজনীর নয় বলে দাবি করে। এতে পরিচয় শনাক্ত নিয়ে জটিলতা হয়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করেন স্বামীকে। এরপর পুলিশ স্ত্রী হত্যার সন্দেহে অভিযুক্ত স্বামী লালনকে রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে গ্রেপ্তার করে।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: খুলনা কুষ্টিয়া ভেড়ামারা