| |
               

মূল পাতা মুসলিম বিশ্ব বদলে যাচ্ছে সৌদির কলেমাখচিত ও ‌তলোয়ারযুক্ত পতাকা


বদলে যাচ্ছে সৌদির কলেমাখচিত ও ‌তলোয়ারযুক্ত পতাকা


মুসলিম বিশ্ব ডেস্ক     02 February, 2022     07:58 AM    


সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা, প্রতীক ও সঙ্গীত সংস্কারের বিষয়ে সম্মত হয়েছে দেশটির মজলিশে শূরা। গত সোমবার (৩১ জানুয়ারি) শূরার নিরাপত্তা ও সামরিক বিষয়ক কমিটির পর্যালোচনার পর এই সংস্কারের পক্ষে সম্মতি দেয়া হয়েছে বলে জানায় সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)। 

সোমবার মজলিশে শূরার সদস্য সাদ আল-উতাইবির এ সংক্রান্ত প্রস্তাব দেন। এরপরই এ বিষয়ের সম্মতি প্রকাশ করে মজলিশে শূরা। এখন এই পরিবর্তনের বাস্তবায়ন করা হবে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর। তবে এগুলোর পরিবর্তীত রূপ কী হবে সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।

খবরে বলা হয়, সৌদির শূরা কাউন্সিলের সম্মতিই যে কোনো আইন বাস্তবায়ন ও সংস্কারে চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। সে হিসেবে বাদশাহ’র অনুমোদন এখন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’ এর অংশ হিসেবে পতাকা ও সংগীত পরিবর্তন করা হচ্ছে।

এনিয়ে সংশোধন প্রস্তাবকারী সাদ আল-উতাইবি জানান, নতুন এই আইনের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা হলো, রাষ্ট্রীয় প্রতীক বা চিহ্নের অপব্যবহার রোধ করা। তিনি বলেন, কেউ যেন মুসলিমদের ওপর সহিংসতার অভিযোগ আনতে না পারে এর ভিত্তিতে আগেও সৌদি আরবের পতাকা থেকে তলোয়ারের চিত্র সরানোর প্রস্তাব দেন দেশটির এক লেখক।

কিন্তু তলোয়ারটি হিংসাকে নয় বরং সৌদি আরবের শক্তিকে উপস্থাপন করে। একইসাথে এটি শক্তি ও ন্যায়বিচারের প্রতীক এবং সৌদির ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়ায় ওই প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। তবে এবার এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে মজলিশে শূরা।

বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এখন নামেমাত্র সৌদি শাসক। প্রকৃত শাসন ক্ষমতা তাঁর ছেলে মোহাম্মদের হাতেই। ২০১৭ সালে ছেলেকে ক্রাউন প্রিন্স বা যুবরাজ ঘোষণা করেন বাদশাহ। সরিয়ে দেন ভাতিজাকে। ভবিষ্যৎ বাদশাহির পথ সুগম হওয়ায় পর্দার আড়াল থেকে সামনে চলে আসেন প্রিন্স সালমান।

সমাজ ও সংস্কৃতির ‘আধুনিকায়নে’ ভিশন-২০৩০ ঘোষণা দিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স বা যুবরাজ মুহাম্মদ। সেই লক্ষ্যেই ইতিমধ্যে বহু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। হলে গিয়ে সিনেমা ও মাঠে গিয়ে খেলা দেখা এমনকি অভিভাবক ছাড়াই নারীদের হোটেলে কক্ষ ভাড়া নেয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি দেশটির বিভিন্ন বড় কনসার্টেরও আয়োজন করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়, যা নিয়ে সারাবিশ্বে সমালোচনা চলছে।