| |
               

মূল পাতা জাতীয় নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন


নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন


রহমত ডেস্ক     17 January, 2022     05:10 PM    


সংবিধান অনুযায়ী একটি আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। আজ (১৭ জানুয়ারি) সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পর রাষ্ট্রপতির গঠিত সার্চ কমিটির মাধ্যমে কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ ও কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে সর্বশেষ দু’টি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত নাম থেকে রাষ্ট্রপতি ২০১২ ও ২০১৭ সালে সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনারকে বেছে নেন।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সংবিধানের ১১৮(১)-এ বিধান আছে, রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দিতে পারেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইনটি নিয়ে আসা হয়েছে। এটি বেশি বড় আইন নয়, এ জাতীয় আইন যেহেতু আমরা হ্যান্ডেল করে আসছি, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন আছে; মোটামুটি সেই অনুযায়ী এটা করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হবে। অন্যান্য আইনে যেভাবে আছে ঠিক সেভাবেই অনুসন্ধান কমিটি হবে। অনুসন্ধান কমিটি যোগ্য প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার কারা হতে পারবেন, আর কারা হতে পারবেন না, তা খসড়া আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যোগ্যতার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বয়স কমপক্ষে ৫০ বছর হতে হবে। কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সরকারি বা বেসরকারি বা বিচার বিভাগীয় পদে কমপক্ষে ২০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাহলে কেউ প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা নির্বাচন কমিশনার হতে পারবেন। অযোগ্যতার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে- আদালতের মাধ্যমে কেউ অপ্রকৃতস্থ হিসেবে ঘোষিত হন, দেউলিয়া ঘোষণার পর দেউলিয়া অবস্থা থেকে মুক্ত না হলে, অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করেন বা কোন বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন, নৈতিক স্খলন এবং সেক্ষেত্রে যদি ফৌজদারি অপরাধে কমপক্ষে দু-বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায়ে দণ্ডিত হলে, রাষ্ট্রীয় পদে থাকলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার হতে পারবেন না।

তিনি আরো বলেন, যদি এর মধ্যে হয়ে যায়, তাহলে হবে। আজ অনুমোদন দেওয়া হলো, হয়তো কাল-পরশু দুদিন লাগবে আইন মন্ত্রণালয়ের। তারপর যদি ওনারা সংসদে পাঠান, সংসদেও তো কয়েক দিন লাগবে। স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যাবে, ওনারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। যদি হয় তো হয়ে যাবে, অসুবিধা তো নেই। আমার তো যতদূর মনে পড়ে, যেভাবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা অপসারণ হন, একই পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। বাকিগুলো হয়তো বিধিতে উল্লেখ করে দেওয়া হবে। এ ছাড়াও মন্ত্রিসভায় আরো তিনটি আইনের খসড়া অনুমোদিত হয়। এগুলো হচ্ছে- ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০২২ এর খসড়া, ‘বাংলাদেশ তেল গ্যাস, ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন আইন-২০২২ এবং ‘বৈষম্য বিরোধী আইন-২০২২’। এ ছাড়াও ‘জাতীয় লবন নীতি-২০২২ এর খসড়ারও অনুমোদন দেয়া হয়।