রহমত ডেস্ক 15 January, 2022 09:14 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদ বলেছেন, বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে লাভ হবে না, তদবির করে ক্ষমতা টেকানো যাবে না। কারণ বিশ্ব বিবেক জেগে উঠেছে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো একের পর এক রিপোর্ট প্রকাশ করছে। সরকার যতই লবিস্ট নিয়োগ করুক সত্যকে আর ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক তাজমেরি এস ইসলামের মুক্তির দাবিতে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আবদুল কুদ্দুস, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রুকন, ঢাবির অধ্যাপক আক্তার হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সাংবাদিক নেতা রাশেদুল হক প্রমুখ।
শওকত মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালে যখন চূড়ান্ত বিজয় সমাগত যখন জনগণ বিজয়ের জন্য অপেক্ষা করছে তখন তারা বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষকদের হত্যা করেছে। কিন্তু তারপরও তারা বিজয় অর্জন করতে পারেনি। তাদের পতন হয়েছে। নব্বইয়ে এরশাদের পতনের প্রাক্কালেও স্বৈরাচার এরশাদ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পেশাজীবী নেতা ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব ডা. মিলনকে হত্যা করেও তার পতন ঠেকাতে পারেনি। সেদিন থেকে স্বৈরাচার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হয়েছিল। সাংবাদিকরা সেদিন থেকে পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ করে দিয়েছিল এবং এরশাদের পতন পর্যন্ত তারা পত্রিকা বের করেনি। আজকে এই স্বৈরাচার সরকার তাদের পতনের প্রাক্কালে আবার সেই শিক্ষকের ওপর আক্রমণ শুরু করেছে, তাজমেরি ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে ভয় ধরানোর জন্য। আমরা কোনো অবস্থাতেই পিছু হটব না। আমরা এ সরকারের পতন ঘটাবো এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তাজমেরি এস ইসলাম, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীসহ সব রাজবন্দিকে মুক্ত করে আনবো, ইনশাআল্লাহ।