| |
               

মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন উন্নত বিশ্বে কারিগরি শিক্ষায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় : শিক্ষামন্ত্রী


উন্নত বিশ্বে কারিগরি শিক্ষায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় : শিক্ষামন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     06 January, 2022     09:56 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের দেশে বর্তমানে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে, যা অনেক দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। এই যে শিক্ষার্থী সংখ্যা, এ সংখ্যাকে সম্পদে রূপান্তর করাটাই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এটিকে ওভারকাম করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ, স্বাবলম্বী ও পরোপকারী মানুষ হিসেবে তৈরি হতে হবে। তাদের মধ্যে সহমর্মিতার বোধ তৈরি করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষায় আমরা যা কিছু করছি, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার কথা বলছি- এ সবই বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া পথরেখা। সবকিছুই তার শিক্ষা ভাবনায় রয়েছে। উন্নত বিশ্বে কারিগরি শিক্ষায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমরাও সেদিকে এগোচ্ছি। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছে, তারা ভালো করছে, ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে। আমাদের লক্ষ্য ২০৫০ সালে কারিগরি শিক্ষা ৫০ শতাংশে উন্নীত করা।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) গাজীপুরের বাহাদুরপুর রোভার পল্লীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চল আয়োজিত প্রতিভা অন্বেষণ ও আন্তঃইউনিট বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনিএসব কথা বলেন।  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ স্কাউটের প্রধান জাতীয় কমিশনার ও দুর্নীতি দমন কমিশস-দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া, টঙ্গী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলামসহ স্কাউটসের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। আমাদের দেশে সংক্রমণ হার কম থাকলেও সংক্রমণ এখন বাড়তির দিকে। বিশ্বব্যাপী অনেকগুলো দেশ, একবারে অনেক উন্নত দেশও করোনায় পর্যুদস্ত অবস্থা। আমাদের ঝুঁকি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি এবং সেই টিকা দেওয়া চলছে। সেটাকে আরও বেগবান করতে হবে। সে জন্য সরকারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আশা করি এখন যেভাবে টিকাদান কর্মসূচি চলছে, তাতে খুব শিগগিরই আমাদের ১২ বছর বয়সী যারা রয়েছে, তাদের বেশির ভাগই টিকা দেওয়া হয়ে যাবে। আশা করছি যত দ্রুত সম্ভব সবাই টিকার আওতায় গিয়ে তারা ক্লাসে ফিরে আসবে। তবে তাদের অনলাইন ও টেলিভিশনে ক্লাসে অংশগ্রহণের সুযোগ চলমান আছে।শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতেই হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট অফিস নিয়মিতভাবে এ বিষয়টি দেখাশোনা করছে। এখন আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনেক সচেতন। এখন যেহেতু সংক্রমণ বাড়ছে, তাই আমাদের মধ্যে এ বিষয়ে আরও সচেতনতা বাড়াতে হবে। যদিও মাঝখানে আমরা একটু ঢিলেমি দিয়েছি। কিন্তু এখন সেটির আর সুযোগ নেই।