রহমত ডেস্ক 05 January, 2022 08:38 PM
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন-ইসি খুবই অসহায়। যে ফলাফল ধরিয়ে দেওয়া হয়, ইসি তাই ঘোষণা করছে। কোথাও কোথাও প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলুষিত করছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলগুলো হুমকির মুখে পড়ে হারিয়ে যাবে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে হয়তো আন্দোলন করতে হবে। গণমানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে হয়তো আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।
আজ (৫ জানুয়ারি) বুধবার দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে দলের গাজীপুর মহানগর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুর মহানগর সভাপতি ও চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এমএম নিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মো. মোশারেফ হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল হক, যুগ্মসচিব মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. বেলাল হোসেন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী মামুন, জিয়াউর রহমান বিপুল, গাজীপুর মহানগরের আলফাজ উদ্দিন, মো. আয়নাল মিয়া, জালাল মেম্বার, সেলিম পাঠান, আমজাদ সরকার, নাসির উদ্দিন, বারী মাস্টার, রমিজ উদ্দিন রাজু, জহির সরকার, আমান উল্লাহ, হারুন অর রশিদ, সাইফুল সরকার, আলহাজ ইসরাফিল মিয়া, ওমর ফারুক, হাজী আবদুস সামাদ মিয়া, ইউনুস বাহারুল ইসলাম, হানিফ মাস্টার, আকরাম হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর বাদল মিয়া, হিরন মিয়া, আলমগীর রেজা, আশরাফুল আলম, আব্দুল আজিজ, ছালাম মোল্লা প্রমুখ।
জিএম কাদের বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশের মানুষ প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ পায়নি। সংবিধানের মূল চারটি স্তম্ভের মধ্যে গণতন্ত্র নেই। সাংবিধানিকভাবেই একনায়কতন্ত্র চলছে। আর রাষ্ট্রীয়ভাবে সমাজতন্ত্র বাতিল করে মুক্তবাজার অর্থনীতি গ্রহণ করা হয়েছে। সামাজিক ন্যায় বিচার নেই বললেই চলে। জাতীয়তাবাদও হুমকির মুখে, জাতির নিজস্বতা হারিয়ে যাচ্ছে। দেশে শুধু ধর্ম নিরপেক্ষতা বজায় আছে। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করে প্রতিটি ধর্মের অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। গণতন্ত্র না থাকলে জবাবদিহিতা থাকে না। একনায়কতন্ত্রে ক্ষমতাসীনরা আইনের ঊর্ধ্বে থাকেন। বেড়ে যায় দুর্নীতি ও দুঃশাসন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল অর্জন করতে পারবে না।