রহমত ডেস্ক 02 December, 2021 08:58 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারি হাসপাতালে গেলে কেউ চিকিৎসা পায় না, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছেন, ব্যাংকগুলোকে লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছেন। কথায় কথায় বলেন উন্নয়নের রোল মডেল নাকি বাংলাদেশ। না খেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে মানুষ। আমাদের কৃষকরা ধানের দাম পান না, পণ্যের দাম পান না, শ্রমিক ভাইয়েরা তাদের মজুরি পান না, নিম্নবিত্ত মানুষ আরও নিম্নবিত্ত হচ্ছে, মধ্যবিত্তরাও নিম্নবিত্ত হচ্ছে। দারিদ্র্যের সীমা আরও অনেক নিচে নেমে গেছে। কিছু ভুঁইফোড় মানুষ মোটা-তাজা হচ্ছে। জনগণের টাকা কেটে তারা লুটপাট করে কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি বানায়, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে।
আজ (২ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধা দলের সহসভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শওকত মাহমুদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।
মির্জা আরো ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দিয়ে সরকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এ সরকার দেশনেত্রীকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দিতে চায় না। কেন? একবারও কি চিন্তা করেন না যে, এ দেশের ১৬ কোটি মানুষ আমার মা-বোনেরা রোজা রাখছে, দোয়া করছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যেন সুস্থ হয়ে যান। কোটি কোটি মানুষের এ যে অভিশাপ আপনারা নিচ্ছেন সেই অভিশাপ আপনাদের নিঃসন্দেহে অভিশপ্ত করবে। আমি শুধু বলতে চাই, খালেদা জিয়াকে বাইরে পাঠানো এ সরকারের জন্য দরকার। কারণ আল্লাহ না করুন তার যদি কোনো ক্ষতি হয় দেশের মানুষ আপনাদের রেহাই দেবে না। অবিলম্বে আর কাল বিলম্ব না করে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় আপনারা এ জন্য দায়ী থাকবেন।
গত ১৩ নভেম্বর থেকে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড অবিলম্বে তাকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে উন্নত সেন্টারে নেয়ার সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশের ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ইতোমধ্যে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। তবে সেই আবেদনের এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।