রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক 26 September, 2021 08:45 PM
ভারতের আসামে মন্দির সম্প্রসারণের নামে মুসলিমদের উচ্ছেদ ও পুলিশের গুলিতে হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত আতাউল্লাহ হাফেজ্জী।
তিনি বলেন, আসামের নৃশংস ঘটনা ভারতকে মুসলিমশূন্য করার রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একজন মুসলিমকে গুলি করে হত্যা করার পর তার নিথর লাশের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। মুসলিম নির্যাতনের এসব ঘটনা বিশ্ব মুসলিমের কলিজায় আঘাত করছে। ভারতের মুসলিম নিধনের বর্বরতা কোনো বিবেকবান মানুষ বরদাশত করতে পারে না।
তিনি বলেন, আসামের বাঙালি মুসলিম সংখ্যাঘরিষ্ঠ দারং জেলার ধলপুরগ্রামে প্রায় ৮০০ শত পরিবারকে তাদের পৈতৃক ভিটেমাটি থেকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে উচ্ছেদ করছে মুসলিমবিদ্বেষী মোদি সরকার। কয়েক দশক ধরে জায়গা জমির খাজনা প্রদান এবং এনআরসি তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও মুসলমানদেরকে তাদের পৈতৃক ভিটেমাটি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের মুসলিম নিধন বন্ধে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মজলিসে আমেলার বৈঠকে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি, নায়েবে আমীর শায়খুল হাদীস মাওলানা হাজী ফারুক আহমদ, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানি মাওলানা আব্দুল মান্নান, হাজী জালাল উদ্দীন বকুল, মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, আলহাজ্ব আতীকুর রহমান নান্নু মুন্সি, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মাওলানা জুনাইদ কাটখালী, মুফতি শিহাবুদ্দিন, মাওলানা মাহবুবর রহমান, মাওলানা ইলিয়াস মাদারীপুরী, মাওলানা মামুনুর রশিদ ও মাওলানা সানাউল্লাহ ফিরোজ প্রমুখ।
মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী আরও বলেন, ভারতের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হামলা চালাচ্ছে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন । হামলাকারী উগ্র হিন্দুরা সন্তানের সামনে বাবাকে নির্যাতন করছে এবং জোর করে হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ জয় শ্রী রাম এ ধরনের স্লোগান দিতে বাধ্য করছে। হিন্দুপ্রধান এলাকাগুলোতে মুসলিম পরিবারগুলো স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম-কর্ম পালন ও নিরাপদে বসবাস করতে পারছে না। একটি ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক দেশের পক্ষ থেকে বিশ্ববাসী এটা আশা করে না।
/জেআর/