শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি 28 June, 2021 04:44 PM
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় নারী (১৯) পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার রাতে ভিক্টিম মামলা দায়ের করার পর বাসের হেল্পারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ জুন) দুপুরে অভিযুক্ত সাগর শেখকে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভার্চুয়াল কোর্টে আবেদন করা হবে।
গ্রেফতার সাগর শেখ (৩০) রাজবাড়ি সদরের লক্ষীনারায়নপুর এলাকার কলিম উদ্দিনের ছেলে।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া জানান, ভিক্টিমের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের উত্তর কটিয়া বৌবাজার এলাকায়। তিনি শ্রীপুর উপজেলা টেপিরবাড়ি এলাকায় বাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
তিনমাস আগে গ্রামের বাড়ি থেকে শ্রীপুরের বাসায় বাসের হেল্পার সাগর শেখের সঙ্গে বাসেই পরিচয় হয়। সে-সুবাদে তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব হয়। গত ২৭ জুন এ সম্পর্কের সূত্রধরে ভিক্টিম শ্রীপুরের বাসা থেকে বের হয়ে বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষমাণ সাগর শেখের সঙ্গে দেখা করতে যান।
পরে তারা ভিক্টিমকে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বেড়ানোর কথা বলে সাফারি পার্কের ১ নম্বর গেইটের পাশে ইন্দ্রপুর এলাকায় আনোয়ারা বেগম নামের এক মহিলার বাসায় নিয়ে যান।
এ সময় সাগর শেখ ছাড়াও তার সহযোগী মো. বাবু (৩২) এবং নাজমুল (৩০) নামের দুই যুবকও ছিল। সেখানে গেলে ভিক্টিম কিছু বোঝার আগেই সাগর শেখ একটি কক্ষে নিয়ে দরজা আটকে দেয় এবং নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পরে বাবু ও নাজমুলও পর্যায়ক্রম ঘরের ভেতরে তাকে ধর্ষণ করে এবং বাবু ভিক্টিমের গলার ও কানে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও সঙ্গের মোবাইল ফোনটি নিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে চলে যায়। বদ্ধ ঘরে ডাক-চিৎকার শুনে এক পর্যায়ে আনোয়ারা বেগম ঘরের দরজা খুলে দেয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব ‘সুযোগ’ দেওয়ার জন্য ওই বাসাটি ভাড়া দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে রোববার দিবাগত রাতে ভিক্টিম বাদি হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করলে রাতেই সাগর শেখকে স্থানীয় এমসি বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পর থেকে অন্যরা পলাতক রয়েছে।
/জেআর/