| |
               

মূল পাতা জাতীয় স্বাস্থ্যখাতে কোনো দুর্নীতি হয়নি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী


স্বাস্থ্যখাতে কোনো দুর্নীতি হয়নি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী


রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক     13 June, 2021     12:39 PM    


স্বাস্থ্যখাতে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, টিআইবি ঘরে বসে একটি সুন্দর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আমরা করোনা শনাক্ত করতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিনি এমন মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে। অথচ করোনা শনাক্তে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে কোনো দুর্নীতির ঘটনা ঘটেনি।

শনিবার (১২ জুন) দুপুরে করোনাযুদ্ধে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ মনোয়ারের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী এ সময় স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করেন।

প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে কোন জায়গায় হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বা দুর্নীতি হয়েছে এরকম কোনো তথ্য কেউ দেখাতে পারবে? কেউ এমন তথ্য দিতে পারবে না বরং অন্য অনেক খাতের কোটি টাকা কানাডায় চলে গেছে।

মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে টিআইবি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে। এটা খুবই দুঃখজনক। করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের সব দেশ বা সংস্থা প্রশংসা করেছে বাংলাদেশের। বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।

জাহিদ মালেক বলেন, তারা (টিআইবি) বলছে রোগীদের জন্য আমরা কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করিনি। অথচ সারাদেশে ১৫ হাজার বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে শুধুমাত্র করোনা চিকিৎসার জন্য। যে কারণে ভারতের মতো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এখনো অনেক দেশ যথাযথভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও লকডাউন চলমান।

তিনি আরও বলেন, টিকা ক্রয়ে সততা ছিল না বলে দাবি করছে টিআইবি। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে স্পষ্ট চুক্তির মাধ্যমে টিকা ক্রয় করেছি। টাকাতে টিকা ক্রয় করা হয়েছে, এজন্য তাদের কত টাকা দিতে হবে সব বিস্তারিত ছিল।

মন্ত্রী বলেন, করোনার মধ্যে আইসিইউ বাড়াতে পারিনি বলে টিআইবি যে দাবি করছে এটা সঠিক নয়। গত বছর যেখানে তিন থেকে চারশোটি আইসিইউ ছিল, সেখানে এখন ১ হাজারের বেশি আইসিইউর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, এটা শুধুমাত্র জনগণের কাছে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। করোনার জন্য যে সরঞ্জাম কেনা হয়েছে, তার ব্যবহার করা হয়নি। অথচ আমরা সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছি। এমন মিথ্যাচার আমরা গ্রহণ করি না।

উপস্থাপনায় অসচ্ছল ছিল এমন অভিযোগ করলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, আমাদের টিকা ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ছিল। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে করোনায় সামনের সারির যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হয়েছে। অনেক অভিযোগ করা হয়েছে যা মোটেও গ্রহণযোগ্য না।

বসুন্ধরার আইসোলেশন সেন্টার নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওটা চালু হলেও ছয় মাসে ছয়টা রোগী হয়েছে। এর পেছনে লাখ লাখ টাকা ভাড়া দেওয়ার কারণে সবার সঙ্গে আলোচনা করে আইসোলেশন সেন্টার থেকে সরঞ্জাম বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

যারা দুর্নীতি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অধিদফতরের ড্রাইভার থেকে শুরু করে যারা অন্যায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনকি ভুয়া রিপোর্টের দেওয়ায় সাবরিনা এবং সাহিদদের গ্রেফতার করে আদালতে দেওয়া হয়েছে। সনদ দেওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে করোনা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সুশাসনে ঘাটতি থাকার কথা জানায় টিআইবি। এ ব্যাপারে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি করোনা মোকাবিলায় আগামী দিনের জন্য ১৯টি সুপারিশ তুলে ধরে। এতে উল্লেখ করা হয়, করোনা প্রতিরোধের কার্যক্রমে রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, লকডাউন, টিকা ক্রয় ও বিতরণে স্বচ্ছতা, সুশাসন এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় ছিল না।

/জেআর/